সুনামগঞ্জে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে যাওয়া নৌযান বিকল হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীসহ আটকে পড়া শতাধিক শিক্ষার্থী তাঁদের উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার দুপুরে কপোতাক্ষ-অনির্বাণ ট্যুরিস্ট বোট নামের একটি নৌযানে করে সুনামগঞ্জ সদর থেকে সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হয় ওই শিক্ষার্থীদের। রাত সাড়ে ৮টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝপথে দোয়ারাবাজার এলাকায় নৌযানটি অচল হয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রশাসনের কাছে উদ্ধারের আরজি জানান।
বোটে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশে বোট ছাড়ে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোয়ারাবাজার এলাকায় এসে বোটটি থেমে যায়। বোটের দুটি ইঞ্জিন এরই মধ্যে বিকল হয়ে পড়েছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি, সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউ। তাঁরা সবাই মাঝখানে আটকা পড়ে আছেন।
গত মঙ্গলবার ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণে যান। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরে সুনামগঞ্জ শহরের ‘পানশী’ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নেন তাঁরা। সেখানে বিদ্যুত্, খাবার, পানিসহ নানা সংকট রয়েছে বলে ফোনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান তাঁরা। পরে সেখান থেকে গত শুক্রবার তাঁদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমনের উদ্যোগে এই শিক্ষার্থীদের পানশী রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার করেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এ বিষয়ে শুক্রবার এনামুল কবীর বলেছিলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে উদ্ধার করে শুরুতে এনে জেলা শহরে পানশী নামের একটি রেস্তোরাঁয় থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেও পানি উঠে যায়। খাবার পানি, বিদ্যুত্, শৌচাগারের সমস্যা দেখা দেয় সেখানে।
২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন সাঁতার জানেন না। শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। নৌকা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয় র্যাবের প্রধান ও পুলিশের এসপি সবার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের পুলিশ লাইনসে স্থানান্তর করা হয়। ’