ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাহিদা গাফফারের হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আনারুলকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানা থেকে আসামি আনারুল ইসলামকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তার আনারুল গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থানার বুর্জুগ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। নিহত সাহিদা গাফফার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর প্রায়ত স্বামী কিবরিয়াউল খালেকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আনারুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শুক্রবার সকালে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনারুলকে । গ্রেপ্তার আনারুল প্রফেসর সাহিদা গফফারের বাড়ি নির্মাণ কাজের রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। অধ্যাপকের কাছে অনেক টাকা দেখে তিনি ছিনিয়ে নিতে চান। এ সময় সাহিদা গাফ্ফার ডাক-চিৎকার দিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান আনারুল। তার দেওয়া তথ্য মতে, নির্মাণাধীন বাড়ির একটু দূরের জঙ্গল থেকে শুক্রবার তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
কাশিমপুর থানার এস আই দীপঙ্কর রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে নিহতের ছেলে সাউথ ইফখার বাদী হয়ে আনারুলকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না- জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে প্রফেসর সাহিদার প্লট ছিল। পানিশাইল এলাকার মোশারফ হোসেন মৃধার বাসায় ভাড়া থেকে তিনি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন।
১১ মাস ধরে তিনি একাই থাকতেন ভাড়া বাসায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ছেলে-মেয়েরা মা সাহিদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। মেয়ে সাহিদা আফরিন মায়ের নিখোঁজের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে রাজমিস্ত্রি আনারুলকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।