ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকার একটি ঐতিহাসিক সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। সেই অমোঘ বাণীকে সত্য প্রমাণ করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গৌরব ও ঐতিহ্য নিয়ে শতবর্ষে এসে জ্ঞানের আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আজ থেকে শতবছর পূর্বে পূর্ব বাংলায় জেগে উঠেছিল একটি প্রাণ। স্পন্দন সঞ্চারিত হয়েছিল ঢাকার বুকে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মধ্য দিয়ে যে জাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল ১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গ রদের মধ্য দিয়ে তা কিছুটা থমকে গেলেও এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, নবাব সলিমুল্লাহ এবং সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরীর মতো নেতৃবৃন্দের কাছে সেদিন বাংলার এই জনপদে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং তারা সেটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, তিনটি ফ্যাকাল্টি নিয়ে যাত্রা শুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। মেধা ও মননে মুখরিত এই অপরাজেয় চত্বর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।