ফ্রান্সের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে খেলতে নেমে দারুণ প্রত্যাবর্তন দলটির।
১-০ গোলের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশাও বাঁচিয়ে রাখল গ্রাহাম আর্নল্ডের দল। এক ম্যাচ কম খেলা ডেনমার্ক এক পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই। প্রথম ম্যাচে বড় জয় পাওয়া ফ্রান্স আছে গ্রুপের শীর্ষে। এছাড়া দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া তিউনিসিয়া আছে তলানিতে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) আল জানোব স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে মিচেল ডিউকের করা একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।
সুপার সিক্সটিনের আশা বাঁচিয়ে রাখতে দুই দলের জন্যই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কানাডার বিপক্ষে ড্রয়ের পর আজ জিততে পারলে অনেকটাই এগিয়ে থাকতো তিউনিসরা। তবে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ মিস করে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে আফ্রিকার দেশটি। তাদের স্বপ্নভঙ্গ করে নিজেদের পথ আরও মসৃণ করল অস্ট্রেলিয়া।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটিতে দুই দলই গোলের খোঁজে মরিয়া ছিল। সুযোগও পেয়েছিল বেশ কিছু। প্রথমার্ধে ম্যাচের ১৯ তম মিনিটে এগিয়ে যাবার সুযোগ এসেছিল তিউনিসিয়ার সামনে। তবে ইউসেফ মাসাকনি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন পুরোপুরি।
তবে তিউনিসরা সুযোগ হারালেও ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়া। মিনিট তিনেক পরই চমৎকার হেডে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নেন ডিউক। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে গোলপোস্টকে পেছনের দিকে রেখে এবং না তাকিয়েই নিখুঁত হেড করেন এই ফরোয়ার্ড।
এমন গোলের পেছনে তিউনিসিয়ার নড়বড়ে রক্ষণের দায়টাও কম নয়। ডিউক হেড নেয়ার সময় কাছাকাছি ডিফেন্ডার থাকলেও তাকে কেউ চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় তিউনিসিয়া। তবে গোলের গেরো খুলতে পারেনি। অন্যদিকে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। আর তাই শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গ্রাহাম আর্নল্ডের দল।