তিন বছর পর পর প্রাথমিক শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা। একইসাথে শিক্ষকদের জন্য শ্রান্তি বিনোদন ছুটি বছরের যে কোনো সময় নন ভ্যাকেশনাল কর্মচারীদের মতো কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। রোববার (৩ মে) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান পরিষদের নেতারা।
পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় ও সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিন বছর পর পর প্রাথমিক শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতি তিন বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাওয়ার কথা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভ্যাকেশনাল কর্মচারী হওয়ায় প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য চাকরিজীবীদের মতো বছরের যে কোনো সময় এ ছুটি ভোগ করতে পারেন না। নন ভ্যাকেশনাল কর্মচারী না হওয়ায় ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় রমজানের ছুটি পর্যন্ত। ফলে দেখা যায়, ৩ বছর পূর্ণ হলেও অনেক সময় রমজানের ছুটি না থাকায় এক বছরের ছুটি পরবর্তী বছরে গিয়ে মঞ্জুর হয়। এক্ষেত্রে ৩ বছর পর যে ছুটিটা পাওয়ার কথা প্রাথমিক শিক্ষকরা সেটা ৪ বছর পর প্রাপ্য হয়।
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, অনেক সময় বরাদ্দ অপ্রতুল হওয়ায়ও প্রাথমিক শিক্ষকরা যথা সময়ে সরকারি অন্যান্য কর্মচারীর ন্যায় শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্য হয় না। বছরের যে কোনো সময় এ ভাতা থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি গ্রীষ্মকালীন বা রমজানের ছুটিতে দেখিয়ে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয়। কিন্তু গত কয়েক বৎসর যাবৎ গ্রীষ্মকালীন এ ছুটি ১৫ দিনের চেয়েও কম হওয়ায় তা শুধু রমজানের ছুটিতে দেখানো হয়। সেক্ষেত্রে একজন প্রাথমিক শিক্ষক যে বছর এ ভাতা প্রাপ্য হয় সে বছরের রমজান পার হলে আবার পরর্বতী বছরের রমজানের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পরিষদের নেতারা বলেন, বছরের পর বছর ক্লাস করে ৩ বছর পরপর কাঙ্ক্ষিত চিত্ত বিনোদনের জন্য ভাতা পেলেও ছুটি মিলে না শিক্ষকদের কপালে। দীর্ঘদিন যাবত শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের এটা এক ধরনের অশান্তিই বলা যেতে পারে। শিক্ষকদের জন্য শ্রান্তি বিনোদন ছুটি বছরের যে কোনো সময় নন ভ্যাকেশনাল কর্মচারীদের মতো কার্যকর করলে সরকারের বাড়তি কোনো অর্থের প্রয়োজন হবে না। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।