তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে তিস্তা ব্যারেজে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিন দুপুর ১২ টায় ব্যারেজের পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে থাকলেও বিকেল ৪টায় ভারত থেকে বয়ে আসা পানি বৃদ্ধির কারণে বিকেলে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা তিস্তা নদীর বেষ্টিত টেপা খড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী আংশিক গয়াবাড়ী, খগা খড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে ১৫ থেকে ২০ টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলোর বাড়ি-ঘরে হাঁটু ও কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে।
ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সোবাহান আলী (৫২) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হঠাৎ মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে কোমর পর্যন্ত পানি উঠে। ভয়ে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দিশেহারায় ভুগছি। এখন কি করবো। তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক বাড়ায় বেশিভাগ পরিবার গবাদিপশু ও শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ কারণে নদীর পানি বেশি স্রোত থাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে স্থাপিত বাধটি প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাদৌলা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় হঠাৎ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজের পানি ২০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারেজের সবকয়টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের পানিবন্দী চরশ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ৭টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৭৫০ টি শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।