টিকা নেয়ার পর ত্রাণসচিবও করোনায় আক্রান্ত - দৈনিকশিক্ষা

টিকা নেয়ার পর ত্রাণসচিবও করোনায় আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনার টিকা নেওয়ার পর দুজন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত দুজন হলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন।

টিকা নেওয়ার ১২ দিন পর ত্রাণসচিবের করোনা শনাক্ত হয়। আর ১৬ দিনের মাথায় করোনা শনাক্ত হয় স্বাস্থ্যকর্মী সাজ্জাদ হোসেনের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট নজরুল ইসলাম বলেন, শরীরে করোনার জীবাণু প্রবেশের পর যদি তাঁরা টিকা নেন, তাহলে সেটা কাজ না–ও করতে পারে। কারণ, ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পর এর শক্তিকাল ১৫ দিন। তার আগেই তাঁরা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, টিকার বুস্টিং ডোজ বা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে। তবে কারও যদি নানা শারীরিক সমস্যা বা ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল থাকে, তাহলে তিনি আবারও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সে সংখ্যা ১০ হাজারে একজন হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘সচিব স্যারসহ অফিসের সবাই ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নিয়েছিলাম। পরে সচিব স্যারের ১৩ তারিখ থেকে ঠান্ডা, জ্বর, কাশির উপসর্গ দেখা দেয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ আসে।’

ত্রাণসচিব মোহাম্মদ মোহসীনের সহকারী শামীম রহমান বলেন, তিনি (ত্রাণসচিব) ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এখন তাঁর কোনো উপসর্গ নেই। আজ চিকিৎসকেরা আরেকটি করোনা টেস্ট করতে বলেছেন। নেগেটিভ এলে হয়তো তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন টিকা নেওয়ার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি করোনা পজেটিভ হন। ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি টিকা নিয়েছিলেন।

টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মী সাজ্জাদ হোসেনের করোনায় আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী মোহাম্মদ রশিদ–উন–নবী বলেন, যেদিন তিনি (সাজ্জাদ হোসেন) টিকা নেন, সেদিন থেকেই তাঁর জ্বর ছিল। তবে তাঁর শরীরে হয়তো আগে থেকেই করোনার জীবাণু ছিল। সাজ্জাদ হোসেন এখন বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর দেশে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৬ লাখের বেশি মানুষ। স্বল্পসংখ্যক মানুষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি টিকা নেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক গোলাম কিবরিয়া। টিকা নেওয়ার ৬ দিন পর তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004364013671875