দক্ষ শিক্ষককে কাজে লাগাতে হবে - দৈনিকশিক্ষা

দক্ষ শিক্ষককে কাজে লাগাতে হবে

গুরুদাস ঢালী |

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) দ্রুত বিস্তার এবং ব্যাপক উপস্থিতি শিক্ষায় তাদের সম্ভাব্য ভূমিকার প্রতি বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বাড়িয়েছে। বেশকিছু গবেষণায় শিক্ষাগত প্রক্রিয়ার ওপর আইসিটি’র প্রভাবের দিকে নজর দেয়া হয়েছে এবং তারা দেখেছে যে শিক্ষায় আইসিটি’র অন্তর্ভুক্তি বিভিন্ন স্তরে শিক্ষাদান ও শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছে। শেখার স্থান এবং সময়ের নতুন প্রবাহ তৈরি হয়েছে, উদ্ভাবনী শিক্ষণ পদ্ধতি তৈরি করার প্রয়াস হয়েছে, প্রযুক্তি-ভিত্তিক সক্রিয় শেখার প্রক্রিয়া গৃহীত হয়েছে, ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিখন-শেখানো মিথক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষকদের ঐতিহ্যগত ভূমিকা সম্প্রসারিত করা হয়েছে, এবং নতুন আইসিটি-ভিত্তিক পাঠ্যক্রমিক সমাধান তৈরি করা হয়েছে।

আইসিটি শিক্ষকের ভূমিকায় পরিবর্তন এনেছে, একজন প্রশিক্ষক হওয়া থেকে শুরু করে একজন গাইড হিসেবে কাজ করে যা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব শেখার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে এবং তাদের নিজস্ব শেখার প্রক্রিয়া ও ফলাফলের মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে। ভবিষ্যতের ছাত্ররা তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে আরো দায়িত্বশীল সক্রিয় শিক্ষার্থী হয়ে ওঠার জন্য সহযোগী বন্ধু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ওপরের কথাগুলো পড়লে অনেকে হয়তো বলবেন, আপনার এতো লাগে কেনো। এমনিতে আমরা আছি বেতনের চিপা গলিতে তারপর আবার নতুন নতুন কাহিনি আবিষ্কার। পরিবর্তনের দোলা চালে আমাদের লেজ ধরে টানাটানি চলছে সেটাতো বলেন না। আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই দেখছি বলা হচ্ছে, শিক্ষকের বেতন বাড়াতে হবে। কম বেতনে চলে না, শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বেশি দিতে হবে। কম তো হলো না। বলার মতো আপনার বেতন রাষ্ট্র দেয় না। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিয়েছেন আপনি  দেশ, জাতী, সমাজ ও শিক্ষার্থীর স্বপ্নদ্রষ্টা। এই লেবাস আপনি আর মুছতে পারবেন না যদি না আপনি নিজে থেকে না হারিয়ে না যান। আজকে শিক্ষককে নিয়ে কথা বলতে চাই না। আজ বলবো শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে।

গুরুদাস ঢালী

ষড়ঋতু-র এই দেশকে আর ষড়ঋতু-র বলা যাবে না। শীতের সময়টা উত্তরাঞ্চলের জনজীবন টের পেলেও দেশের অনান্য অঞ্চলের লোকজন ততোটা টের পান না। শীত শেষ হলে, স্বমহিমায় আবির্ভাব ঘটে গ্রীষ্মের। অনান্য ঋতু গুলোর আসা যাওয়ার মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে গ্রীষ্মকাল প্রতিবছর তার রূপ বদল করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনের শিকার আমরা। দেশ এবার যে দাবদাহের কবলে পড়বে এবং তা জনজীবনকে স্বাক্ষী করে রেখে যাবে তা গত কয়েক দিনের তাপমাত্রার হিসাব দেখে বোঝা যায়। আবহাওয়াবীদরা বলছেন, এ রকম তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে।

বর্তমান যে আবহাওয়া দেশে বিরাজমান এ অবস্থায় আমাদের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কী হবে? প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে তাদের শ্রেণি পরিচালনা করবে? কিংবা আদৌ কি শ্রেণি পরিচালনা করা সম্ভব হবে? সব শিশুকে কি আমরা সুরক্ষার আবর্তে আনতে পারবো? জাতীসংঘের শিশু সুরক্ষা নীতিমালা অনুসারে সব শিশুকে তাদের অধিকার ও সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এমতাবস্থায় শিক্ষাব্যবস্থাকে ধরে রাখতে আমাদের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। করোনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেছে। লাখ লাখ শিশু বাল্যবিয়ের অভিশাপ মাথায় নিয়ে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়েছে। শিখন ও শিক্ষণ ব্যবস্থায় ধস নেমেছে, যার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাই ডিজিটাল ক্লাসরুম, অনলাইন ক্লাস পরিচালনা হয়ে উঠেছে সময়ের অন্যতম দাবি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে অনেকের কথা শুনেছি কেউ কেউ বলেছে শ্রেণি পরিচালনা বন্ধ রাখতে, আবার অনেকে বলছেন অনলাইনে শেণি পরিচালনার কথা। সরকার ঘোষণা করেছে, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ক্লাস চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়ে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শ্রেণি পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবর্তন আসতে হবে।

শ্রেণি পরিচালনার জন্য আমাদের দুটি বিষযে কাজ করা যেতে পারে। প্রথমত ডিজিটাল ক্লাসরুম অন্যটি অনলাইন ক্লাস পরিচালনা। ডিজিটাল ক্লাসরুম এমন এক ধরনের প্রযুক্তি নির্ভর শ্রেণিকক্ষ যেখানে শিক্ষাদানের বিষয়টি পুরোপুরি আইসিটি ব্যবহার করে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর অনেকগুলা ভিন্ন ভিন্ন রূপ রয়েছে। যেমন-ফ্লিপড ক্লাসরুম, ব্লেন্ডেড লার্নিং এবং স্মার্ট ক্লাসরুম। তবে এসব পদ্ধতির প্রতিটির পৃথক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন-ফ্লিপড ক্লাসরুম, এমন একটি লার্নিং সিস্টেম যেখানে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ইনস্ট্রাকশন গ্রহণ করেন এবং তাদের অর্জিত জ্ঞান সরাসরি শ্রেণিকক্ষে, এসে প্রয়োগ করতে পারেন। আবার ব্লেন্ডিং লার্নিং এর ক্ষেত্রে ফেস-টু-ফেস লার্নিংয়ের পাশাপাশি অনলাইন ইন্সট্রাকশনের সমন্বয় ঘটানো হয়। 

একটি ফ্লিপড ক্লাসরুম ডিজাইন করার সময়, প্রচলিত প্রজ্ঞা হলো যে প্রশিক্ষকদের উচিত প্রাক-ক্লাস পর্যালোচনা এবং অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবহার করা যাতে শিক্ষার্থীরা ফ্লিপ করা ক্লাস পিরিয়ডে অংশগ্রহণ করতে এবং উপকৃত হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ফ্লিপড লার্নিং একটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় শিক্ষা ব্যবস্থা। ফ্লিপ করা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা অনলাইন লেকচারগুলোকে শ্রেণির হোমওয়ার্ক হিসেবে দেখেন। তারপর ক্লাসের মধ্যে সক্রিয় শেখার অভিজ্ঞতা যেমন আলোচনা, সহকর্মী শিক্ষা, উপস্থাপনা, প্রকল্প, সমস্যা সমাধান, গণনা এবং দলগত কার্যক্রমে নিযুক্ত ।

একটি স্মার্ট ক্লাসরুমের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরো আকর্ষক এবং কার্যকর শেখার পরিবেশ প্রদান করা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে, শিক্ষকেরা পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন যা আরো ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষক। উপরন্তু, স্মার্ট ক্লাসরুমে প্রায়ই সহযোগিতা এবং হাতে-কলমে শেখার আরো সুযোগ থাকে। স্মার্ট ক্লাসরুমের মাধ্যমে সময় বাঁচানো প্রযুক্তি সময় বাঁচানো। উদাহরণস্বরূপ, যেকোনো বিষয়ের জন্য অনলাইন পাঠ পরিকল্পনা পাওয়া যেতে পারে, এবং অনেক অনলাইন টুল রয়েছে যা শিক্ষকদের আরো কার্যকরভাবে পাঠ প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে। স্মার্ট ক্লাসরুমের মাধ্যমে সময় সাশ্রয় প্রযুক্তি দ্রুত এবং সহজে গঠনমূলক মূল্যায়ন করে সময় বাঁচাতে পারে। 

করোনাকালে সংসদ টিভিতে স্কুল শিক্ষকদের ক্লাসগুলো ছিলো চমৎকার। কী চমৎকার পড়াতেন তারা। তাদের বেশির ভাগই ঢাকার নামি স্কুলের শিক্ষক। এই মানের শিক্ষক যদি আমাদের প্রাথমিক আর মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে নিয়োগ দেয়া যেতো! ভালো শিক্ষক যে এখনো স্কুলগুলোতে নেই তা নয়, কিন্তু জ্ঞানচর্চা ও বিতরণে যে মনস্তাত্ত্বিক স্বস্তি থাকা দরকার, আমরা শিক্ষা বাজেট তৈরির সময় তা বিবেচনা করি না। স্মার্ট ক্লাসরুমে আমরা এসব ভিডিয়ো কনটেন্টগুলো ব্যবহার করতে পারি। এ ছাড়া আমাদের মুক্তপাঠ ও শিক্ষক বাতায়ন দুটা ওযেব পোর্টাল আছে যেখানে  প্রতিদিন আমাদের দক্ষ শিক্ষকেরা নিজেদের তৈরি ভিড়িয়ো আপলোড করেন। আমি বিভিন্ন সময়ে সেগুলো দেখেছি। অনেক সুন্দর, আমরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারি। 

আবার এমন করা যেতে পারে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের একটি করে ওয়েভসাইট থাকবে, যেখানে প্রতিটি বিষয়ের ওপর ক্লাস ভিডিয়ো/শিক্ষকের ভিডিয়োসহ ক্লাসগুলো থাকবে। শিক্ষার্থীরা যখনই সময় পাবেন তখনই সেখান থেকে সরাসরি দেখতে পারবেন। এমন ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীরা বেশ উপকৃত হবেন। 

কয়েক দশক ধরে, সরকারি স্কুলগুলো প্রধানত প্রচলিত ব্ল্যাকবোর্ড-চক-বক্তৃতা পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম (এমএমসি) উদ্যোগটি একটি ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে প্রথম মাইলফলকগুলোর মধ্যে একটি ছিলো, যা দেশে  শিক্ষা প্রযুক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে চালু হওয়া, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া শেখার উপকরণগুলোকে একীভূত করার পথ প্রশস্ত করেছে, দেশব্যাপী উদ্ভাবনী এবং উন্নত শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করেছে। এই উদ্যোগটি তার পাইলট সময়কালে মাত্র এক হাজারেরও বেশি স্কুলের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলো এবং বর্তমানে ৪৫ হাজারেরও বেশি স্কুল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহার করছে।

এমএমসি একটি প্রজেক্টর, একটি ল্যাপটপ, এক সেট স্পিকার এবং একটি ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত করে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হরো অডিও-ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট ব্যবহার করে শেখার আরো আকর্ষণীয় এবং আপ-টু-ডেট করা নিশ্চিত করা।

আর অনলাইন ক্লাস অনেকটা মজাদার অনেক গুরুত্বপূর্ণ যদি সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে কিন্তু সরকার শিক্ষক অভিভাবক যদি সমন্বয় সাধন করে তাহলে সম্ভব হবে। কেনোনা অনলাইন ক্লাস অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসছে তাই তাদেরকে সম্পৃক্ত করা সবার জন্যে একটা চ্যালেঞ্জ। অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করা বা সঠিকভাবে শিক্ষকের শিখন শিক্ষণে ডুবে যাওয়ার জন্য সবার জন্য ভালো মানের একটা মোবাইল বা ট্যাব প্রয়োজন। সেটা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। সমন্বিতভাবে যদি এটার ব্যবস্থা করা য়ায়, ইন্টারনেট স্পিড যদি ভালো থাকে তাহলে চেষ্টা করা যেতে পারে। প্রত্যেক স্কুল থেকে কমপক্ষে একজনকে দক্ষ করে তুলতে হবে যিনি আর সবার দক্ষতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে স্কুলে ইনহাউস প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করতে হবে। অনলাইন ক্লাসকে প্রানবন্ত করার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। শিক্ষাক্রম প্রশিক্ষণে আমি একজন আপাকে দেখেছিলাম। কি সুন্দর উপস্থাপন, আমাদের অনেক দক্ষ শিক্ষকেরা আছেন। তাদেরকে তৈরি করার জন্য একটা প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে।     

কিন্তু দুঃখের বিষয় যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি বিষযে কোনো শিক্ষক বা দক্ষ ব্যক্তি নেই এটা বলা যাবে না, কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে নেই। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষক আছেন কিন্তু আগ্রহ আর প্রণোদনার অভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তবে একটা কথা আমাদের মানতে হবে নিজের অবস্থান নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।সামনে আনেক পথ। সবাই এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের বসে থাকলে চলবে না। শিক্ষক, অভিভাবক সরকার সবার সমন্বিত উদ্যোগে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

লেখক: শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় টেকনিক্যাল অফিসার 

 

সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.016069173812866