দাখিলের গণিত-ইংরেজি খাতা অন্য বোর্ডের শিক্ষকদের দিয়ে দেখানোর সুপারিশ - দৈনিকশিক্ষা

দাখিলের গণিত-ইংরেজি খাতা অন্য বোর্ডের শিক্ষকদের দিয়ে দেখানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

দাখিল পরীক্ষার বাংলা, গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ের খাতা অন্য বোর্ডের শিক্ষকদের দিয়ে মূল্যায়নের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কমিটির পক্ষ থেকে এ সুপারিশ করা হয়। এদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্ত সব মাদরাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিটি। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, মাদরাসা শিক্ষার জন্য সরকার অনেক টাকা খরচ করে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা দেখতে পাই না। তাদের শিক্ষার গুণগতমান প্রত্যাশিত মাত্রায় অর্জিত হয় না। আলিয়া মাধ্যম থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের আমরা গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ভূমিকা রাখতে দেখিনা। এ কারণেই আমরা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের খাতা অন্য কোন মাধ্যমের শিক্ষকদের মূল্যায়ন করার সুপারিশ করেছি। এটা করা গেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা চাপ থাকবে এবং তারা নিজেদের গুণগত মান উন্নত করার চেষ্টা করবে। 

তিনি আরও বলেন, মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক শিক্ষকদের মধ্যে নিজেদের চাকরির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের পাস করানোর প্রবণতা দেখা যায়। আমাদের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে এই সুযোগ তারা পাবে না।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাদরাসার প্রাত্যাহিক কাজ শুরু করার আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক করার জন্য কমিটি সুপারিশ  করেছে।

সকল মাদরাসা বলতে কওমি মাদরাসাও অন্তর্ভুক্ত কিনা জানতে চাইলে আ স ম ফিরোজ দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতে দেখা যায় না। আমরা এটা নিশ্চিত করতে বলেছি। আমরা কেবল মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছি। কওমি মাদ্রাসার বিষয়টি এখানে আসেনি। সভায় যেকোন মাদরাসা প্রতিষ্ঠার আগে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

সভায় জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে মাদরাসার সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিকায়ণ; মাদরাসার পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ণ ও নকল প্রতিরোধে ব্যবস্থাসমূহ; উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে মাদ্রাসা শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ; মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি, গভর্নিং বডি, নির্বাহী কমিটি, অ্যাডহক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ও কমিটি সংক্রান্ত উদ্ভূত জটিলতা নিরসন; মাদরাসার অধ্যক্ষ-সুপার-শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ পদ্ধতি; প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সভায় গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়নে স্থানীয় সংসদ-সদস্যের  সুপারিশ গ্রহণের নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ এবং অ্যাডহক কমিটি গঠনের প্রবণতা বন্ধ করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সকল প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
 
কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ,  মুহিবুর রহমান মানিক এবং নাহিদ ইজাহার খান সভায় অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030660629272461