দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ জেলায় - দৈনিকশিক্ষা

দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ জেলায়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ব্রিটিশ আমলে নারায়ণগঞ্জ হয়ে উঠেছিল উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য হাবগুলোর অন্যতম। সে ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে এখনো। শিল্পায়নের দিক থেকেও সবচেয়ে অগ্রসর জেলাগুলোর একটি নারায়ণগঞ্জ। সারা দেশে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম এখানেই।

একদিকে নৌপথে দ্রুত পণ্য পরিবহনের সুযোগ, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় একটি অংশ গিয়েছে নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এ সুবিধা অতীতেও ভোগ করেছে নগরীটি, যা দিনে দিনে আরো বেড়েছে। সব মিলিয়ে রাজধানী ঢাকাসংলগ্ন জেলা নারায়ণগঞ্জ এখন হয়ে উঠেছে দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। ব্যাপক শিল্পায়নের ধারাবাহিকতায় রমরমা হয়ে উঠেছে আবাসন খাতের ব্যবসাও। বেড়েছে জমির দাম। শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম জেলাটির বাসিন্দাদের আয় বাড়িয়েছে। দারিদ্র্যও নামিয়ে এনেছে দেশের জেলাগুলোর মধ্যে সর্বনিম্নে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দুজন গবেষক সম্প্রতি দেশের জেলাগুলোর দারিদ্র্যের মাত্রা নিয়ে এক গবেষণা চালান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব বাথের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল ‘এক্সট্রিম পভার্টি: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে করা গবেষকদের নিজস্ব হিসাবে উঠে এসেছে, নারায়ণগঞ্জে দারিদ্র্যের হার এখন ২ দশমিক ৬ শতাংশ, যা সারা দেশে সর্বনিম্ন। এছাড়া সবচেয়ে কম দারিদ্র্যের হারসংবলিত অন্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ (৩ দশমিক ১ শতাংশ), মাদারীপুর (৩ দশমিক ৭ শতাংশ), গাজীপুর (৬ দশমিক ৯ শতাংশ) ও ফরিদপুর (৭ দশমিক ৭ শতাংশ)।

গবেষকদের অন্যতম বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. জুলফিকার আলী। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি, যেসব এলাকায় শিল্পায়ন হয়েছে বেশি, সেগুলোয় দারিদ্র্যের হার কম। নারায়ণগঞ্জ এমনিতেই বড় একটি শিল্পাঞ্চল। ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় একটি জায়গা। এ এলাকায় যারা সচ্ছল তারা তো রয়েছেনই। আবার কর্মজীবী-শ্রমিকদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে অনেক। তুলনামূলক অসচ্ছল হলেও দেখা যাচ্ছে, তাদের যে আয় হচ্ছে তাতে তারা দারিদ্র্যসীমার ওপরেই থাকছেন।

শিল্পনগরী হিসেবে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য অত্যন্ত সুপ্রাচীন। একসময় এলাকাটির বস্ত্র শিল্প গোটা বিশ্বেই ঈর্ষণীয় মাত্রায় খ্যাতি অর্জন করেছিল। এখানেই ঘটেছিল ঐতিহ্যবাহী মসলিন শিল্পের বিকাশ। তবে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ের এলাকাটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়তে থাকে ঔপনিবেশিক আমলে। কোম্পানি শাসনামলে উপমহাদেশের পাট বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জ। বিশেষ করে গ্রিক ও আর্মেনীয় ব্যবসায়ীদের হাত ধরে নারায়ণগঞ্জকেন্দ্রিক পাট বাণিজ্য ফুলেফেঁপে উঠেছিল। 

এদিক থেকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল গ্রিক প্রতিষ্ঠান র্যালি ব্রাদার্সের। প্রতিষ্ঠানটি ছিল নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পাটের ব্যবসা করা প্রথম কোম্পানি। নারায়ণগঞ্জে কাঁচা পাট প্রক্রিয়া করে তা যুক্তরাজ্যে রফতানি করত প্রতিষ্ঠানটি। পারিবারিক ব্যবসা হিসেবে যাত্রা করা র্যালি ব্রাদার্সের পাট বাণিজ্য বন্দরটির পাশাপাশি সমৃদ্ধ করেছিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকেও। বিশ্বব্যাপী বন্দরটির সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিষ্ঠানটির বড় ভূমিকা ছিল। নারায়ণগঞ্জের পাটের ব্যবসার সমৃদ্ধি বাড়িয়েছিলেন ঢাকার আর্মেনীয় ব্যবসায়ীরাও। পাকিস্তান আমলেও দেশের বৃহৎ শিল্প-কারখানাগুলোর বড় একটি অংশ গড়ে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জে। ১৯৫০ সালে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিল। কারখানাটির প্রতিষ্ঠা ওই সময় নারায়ণগঞ্জকে দেশের পাট শিল্পের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছিল।

মসলিনের অবলুপ্তির পরও বস্ত্র শিল্পে আধিপত্য ধরে রেখেছিল নারায়ণগঞ্জ। ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে নারায়ণগঞ্জে উৎপাদিত সুতা ও কাপড়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ‘প্রাচ্যের ডান্ডি’, ‘ম্যানচেস্টার অব এশিয়া’ ইত্যাদি নামে অভিহিত থাকে নারায়ণগঞ্জ। শীতলক্ষ্যা তীরবর্তী টানবাজার হয়ে ওঠে উপমহাদেশের তুলাজাত সুতার বৃহৎ পাইকারি বাজার। এটিকে ঘিরে গড়ে ওঠে অনেকগুলো হোসিয়ারি কারখানা।

শুধু টানবাজারের সুতা বাণিজ্যের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়েই শূন্য থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠার গল্পও রয়েছে অনেক। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিককার কথা। নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে সুতা বাণিজ্যের গদি সামলাতেন বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এম সোলায়মান। একদিন খুব ভোরে টানবাজারে গিয়ে দেখেন গদিতে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন একজন সুতার এজেন্ট। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুতা ব্যবসায়ীদের পণ্য সরবরাহ করতেন তিনি। এ কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেলে তিনি প্রায়ই এভাবে ঘুমিয়ে পড়তেন। ওই এজেন্টের নাম মো. বাদশা মিয়া। টানবাজারে সুতার কারবার করতে করতেই এখন দেশের টেক্সটাইল খাতের বাদশাহ হয়ে উঠেছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড এখন দেশের বৃহত্তম সুতা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।

দেশের নিটওয়্যার শিল্পের বিকাশ ঘটেছে নারায়ণগঞ্জকে কেন্দ্র করেই। জেলাটিকে ‘নিটওয়্যার সিটি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন বস্ত্র ও পোশাক শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নারায়ণগঞ্জে সুতা বাণিজ্যের ইতিহাস ২০০ বছরের পুরনো। নিটওয়্যার শিল্পের উত্থানই নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাই নারায়ণগঞ্জকে নিটওয়্যার সিটিও বলা যায়।

বিশ্বব্যাপী টি-শার্টের সবচেয়ে বড় উৎপাদন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে জেলাটি। নিটওয়্যার পণ্যটি রফতানিতে গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। এক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় অবদান নারায়ণগঞ্জের। দেশের মোট রফতানীকৃত টি-শার্টের প্রায় ৭০ শতাংশই জেলাটিতে উৎপাদন হচ্ছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান  বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় সরকার। সবচেয়ে বেশি নিটওয়্যার পণ্য এখান থেকেই রফতানি হয়। অতীতে ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত জেলাটি বিখ্যাত ছিল মসলিনের জন্য। পাকিস্তান আমলে ও স্বাধীনতার পর আশির দশক পর্যন্ত ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ পরিচিতি পেয়েছে নিটওয়্যারের শহর হিসেবে। এখানে হাজারের বেশি নিটওয়্যার কারখানা রয়েছে। এসব কারখানা কমপ্লায়েন্সের দিক থেকেও এগিয়ে। শ্রমিকরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও উন্নত পরিবেশে কাজ করতে পারছেন।

তিনি বলেন, শুধু নিটওয়্যার বা পাট নয়, নারায়ণগঞ্জে এখন খাদ্যপণ্যের কারখানা, অর্থনৈতিক অঞ্চল, সিমেন্ট, রাসায়নিক, স্পিনিং, টেক্সটাইল মিলসহ নানা ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষের। এসব শিল্প-কারখানার কারণে এখানে জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।

নারায়ণগঞ্জে নদীতীরবর্তী স্থানগুলোয় ডক ইয়ার্ড, নৌপথে ইট-বালি সরবরাহসহ নানা ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, শিল্পায়ন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জে এখন জমির দাম বাড়ছে। আবার এখানে সরকারের পক্ষ থেকেও নানা বৃহৎ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। সামান্য জমির মালিকানাও এখানকার অনেকের অসচ্ছলতা দূর করেছে। এখানকার স্থানীয়দের মধ্যে এখন ব্যবসা করার প্রবণতা বাড়ছে।

কাজের খোঁজে এখানে বাইরে থেকে প্রচুর মানুষও আসছে। জমির দামও বাড়ছে। গত দুই দশকে এখানকার জমির দাম পাঁচ থেকে আট গুণ বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে আবাসন ব্যবসাও এখন বেশ রমরমা হয়ে উঠেছে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে কংক্রিটে আচ্ছাদিত এলাকা। চলতি শতকের শুরু থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জেলার শুধু রূপগঞ্জ উপজেলায়ই কংক্রিটে আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ৭৯৬ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে বলে জার্নাল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টে (জেইএসডি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের মানুষের জীবনমানে বেশ পরিবর্তন এসেছে। জেলাটিতে এখন সরকারের বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন রয়েছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল সিটির কথা বলা যায়। এটি ছিল একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। নৌকা ছাড়া এ অঞ্চলে যাওয়া যেত না। সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় একসময়ের প্রত্যন্ত অজপাড়াগাঁর জমির দাম বেড়েছে শতগুণ। ৫০ হাজার টাকা শতাংশের জমির দাম এখন কোটি টাকার ওপরে দাঁড়িয়েছে। যারা এখানে কৃষিকাজ করতেন, শুধু এখানকার জমি বিক্রি করেই তারা কোটিপতি হয়ে পড়েছেন। বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও শিল্পায়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগের পরিবেশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগকেই নারায়ণগঞ্জের দারিদ্র্য হ্রাসের বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী  বলেন, নারায়ণগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সুযোগ এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এখানকার মানুষের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। বিপুলসংখ্যক শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কারণে দেশের অন্য জেলার লোকজন নারায়ণগঞ্জে আসছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের পাশাপাশি সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজারে বেশ বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাস্তবায়ন হয়েছে সরকারের বড় বড় প্রকল্প। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের কারণে জমির মূল্যও কয়েক গুণ বেড়েছে।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063109397888184