এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে আইনের দুর্বলতা রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে আইন হচ্ছে। আমরা একটা আইনের অপেক্ষায় আছি। আইনটা নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে। এখানে ব্যবহারের বিষয়ে অনেক নিয়মকানুন থাকবে। এছাড়া সহজে শনাক্তের জন্য এন্টিবায়োটিকের মোড়ক হবে লাল রঙের। একই সঙ্গে এ বলেও জানিয়েছেন ।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে করণীয় নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেখা গেছে যথেচ্ছ এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে বিশ্বে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশেও এন্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষের বিশেষ বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক কার্যকর হয় না।
তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক সময় চিকিৎসায়ও রোগ ভালো হচ্ছে না। এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বেচাকেনা, কোর্স শেষ না করা। বিশ্বের কোথাও প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় না, বিক্রিও হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে যে কেউ প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি থেকে এন্টিবায়োটিক কিনতে পারেন এবং সেবন করেন। যেখানে কম ক্ষমতার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে হয়, সেখানে উচ্চ ক্ষমতার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়।
এটা একটা বড় বিষয়। যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ওপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্যেও এন্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে। প্রাণির খাদ্যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করায় এটি হচ্ছে। আমাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এন্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। এন্টিবায়োটিকের ওপর তদারকি বাড়াতে হবে। সেটি আমরা করবো। ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে ফার্মেসির লাইসেন্স থাকবে না, তারা ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন না। লাইসেন্স পেতে হলে বিধিবিধান ও প্রয়োজনীয়তা মানতে হবে।
