রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত তরুণের পরিচয় মিলেছে। গতকাল বুধবার মর্গে গিয়ে স্বজনরা পরিচয় নিশ্চিত করে বলেছেন, তিনি বেসরকারি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কেশব রায় পাপন (২৪)। গত মঙ্গলবার রাতে পূর্ণিমা সিনেমা হলের গলিতে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার পর থেকে কেশবের মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা সেটি ছিনিয়ে নিতে পারে; তাতে বাধা পেয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। তবে এটি পরিকল্পিত খুন কিনা, তাও তদন্তের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ৃব্দত করে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কেশব রায় সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি কারওয়ান বাজারের উল্টোপাশে পূর্ণিমা সিনেমা হল ও প্রিন্স হোটেলের পাশের গলিতে যেতেই কয়েকজন পথরোধ করে। এক পর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ দৃশ্য দেখে লোকজন সরে যায়। তবে পরে তাকে পথচারীরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছিল। ওই সময় তার ব্যবহূত মোটরসাইকেল পাশেই পড়ে ছিল।
কেশব রায়কে উদ্ধারকারী একজন পথচারী রাকিব হোসেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলছিলেন, ওই তরুণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। তার সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। তবে হেডফোনের তারটি গলায় ঝুলছিল। একটি ছোট্ট হাতব্যাগও ছিল। স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো ঠিকানা বা ফোন নম্বর আছে কিনা, তা দেখতে সেটি খুলে ভেতর মানিব্যাগ পাওয়া যায়। যা হাসপাতাল পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহে আলম বলেন, কেশবের পেটে ও পিঠে কোপানো হয়েছে। তার মোবাইল ফোনটি পাওয়া না গেলেও সাইকেল ও মানিব্যাগ পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত বা পূর্বশত্রুতার কোনো হামলা কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কেশবের মামা কমল রায় বলেন, কেশব সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ষষ্ঠ সেমিস্টারে পড়ালেখা করত। পাশাপাশি নিউ এলিফ্যান্ট রোডে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে খণ্ডকালীন চাকরি করত। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে তেজগাঁওয়ের মণিপুরি পাড়ার মেস বাসায় ফেরার সময় সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।