উগ্র মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১১৬ 'ধর্ম ব্যবসায়ী' ও উগ্র তৎপরতায় যুক্ত এক হাজার মাদরাসার নামের তালিকা সংবলিত 'শ্বেতপত্র' দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে জমা দিয়েছে দেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন। চিহ্নিত ১১৬ ধর্ম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সারাদেশে মৌলবাদী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে এ শ্বেতপত্রে। যদিও এ ঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা এ ঘটনায় উদ্বোগ প্রকাশ করেছে বলেছেন, দেশবিরোধী একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে তথাকথিত গণকমিশনের নামে নতুন চক্রান্তে মেতেছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন সংগঠনটির মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
তারা আরও বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের আড়াল করে আলেমদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ১১৬ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে এবং ১ হাজার মাদরাসার বিরুদ্ধে কথিত ‘গণকমিশন’ দুদকে যে শ্বেতপত্র জমা দিয়েছে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার তাদের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের নেই। দেশে আইন আদালত থাকতে গণকমিশন গঠন দেশের সংবিধান বিরোধী। দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুদকে দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। যারা তালিকা তৈরি করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত।’
নেতারা আরও বলেন, ‘ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের একটি সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের পথ নির্দেশ করা হয়। সমাজের সব অনাচার, অন্যায় এবং ভুল থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎপথে ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। ইসলামী আলোচকরা ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বহুমুখী ত্যাগ করে থাকেন। এ সংস্কৃতি ধ্বংস করতে যারা কাজ করছে তারা আর যাই হোক, দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, দুর্নীতিবাজ এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারীদের বিষয়ে তাদের নিরবতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে।
তারা এর কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। একই সঙ্গে গণকমিশনকে দমন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।