প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ১ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেড় লাখ উপকারভোগীর সহায়তা পৌঁছে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এই উপবৃত্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
এবারের কার্যক্রমের আওতায় সর্বমোট ৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ২ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সাথে বিকাশে পৌঁছে যায়। সেই সফলতার ধারাবাহিকতায় এবারের কার্যক্রমের সিংহভাগ উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে বিকাশ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে বলেন, সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি উপবৃত্তির ক্যাশ আউট চার্জ ফ্রি করে দেয়ায় বিকাশসহ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবা বিশ্বের কাছে উদাহরণ। মোবাইল আর্থিক সেবার কারণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন হয়েছে।
বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাওয়া উপবৃত্তির টাকা বাড়তি কোন খরচ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অংশ নিয়ে বিভিন্ন জেলার উপকারভোগী শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া জিটুপি পদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সাথে বাড়তি কোন খরচ ছাড়াই সফলতার সাথে বিতরণ করে আসছে বিকাশ।