দোষ থাকলে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবো : শাবিপ্রবি উপাচার্য - দৈনিকশিক্ষা

দোষ থাকলে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবো : শাবিপ্রবি উপাচার্য

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি |

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার যদি কোন দোষ থেকে থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। এতে আমার যদি কোনো দোষ থাকে তাহলে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিবে তাই মেনে নেব।’

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তারা তাদের ফিরিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা গালিগালাজ সহ্য করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করছে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে সেটিতে আমি খুবই মর্মাহত। যখন তাদের দাবি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলে আসবে তখন কে বা কারা পুলিশের উপর এ হামলা করে তা খতিয়ে দেখা হবে।’

এদিকে দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইয়াসির সরকার বলেন, ‘শিক্ষকদের কাছে এই মুহূর্তে একটাই দাবি করা হয়েছে। আমাদের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করছে কি না, সেটা করতে চাইলে উনারা আসতে পারে। কিন্তু আমাদের আশ্বস্ত করার নামে কালক্ষেপন করতে আসলে আমরা তাদের কথা শুনতে রাজি না।’  

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনের চতুর্থ দিন বিকালে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তাতে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নির্দেশ উপেক্ষা করে হলে অবস্থান করেন। উল্টো তারা উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে নতুন আন্দোলন শুরু করেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর পর পুলিশই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। গুলিবর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ আনা হয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েক দিন বিক্ষোভের পর তারা অনশন শুরু করেন। বুধবার বিকেল ৩টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035350322723389