দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : ঢাবি শিক্ষার্থী রনির অভিনব প্রতিবাদ - দৈনিকশিক্ষা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : ঢাবি শিক্ষার্থী রনির অভিনব প্রতিবাদ

ঢাবি প্রতিনিধি |

দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে দায়ী করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে পথনাট্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীর মহিউদ্দিন রনি। এর আগে টানা সাত দিন একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এ শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে থেকে শুরু হয় রনির পথনাট্যটি। পথনাট্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। এতে রনি ছাড়াও অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

পথনাট্যে দেখা যায়, মহিউদ্দিন রনি একজন দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এ দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট শেকল দিয়ে বেঁধে রেখে হলুদ গণমাধ্যম, প্রশাসন, বুদ্ধিজীবী-রাজনীতীবিদ। যেখানে দেখা যায় হলুদ গণমাধ্যম, প্রশাসন, বুদ্ধিজীবী-রাজনীতীবিদ চরিত্রধারীদের মুখে কালো টেপ লাগানো। সেই সঙ্গে এটি শৃঙ্খলটি প্রতিবাদ জানাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম নামে আরেকটি চরিত্র।

বলা হচ্ছে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট টাকার প্রভাব খাটিয়ে গণমাধ্যম, প্রশাসন, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতীবিদ সবাইকে নিয়ন্ত্রন করছে। ফলে তারা নিজেদের মতো দাম বৃদ্ধি করছে, আর অবৈধ শৃঙ্খল ভাঙতে পারে একমাত্র তরুণ প্রজন্ম। 

মহিউদ্দিন রনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে দাবিতে আমি রমজানের এক দিন আগ থেকে এক দফা এক দাবি নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি। এ দাবি শুধু আমার একার না, এটি প্রতিটি মানুষের দাবি। আর এ দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটে টাকা দিয়ে আইনের ফাক দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। তাদের একটাই ক্ষমতা সেটি হলো টাকা, তাদের টাকা আছে, আমাদের নাই! তাদের টাকা আছে বলেই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে লুটপাট করছে।

তিনি বলেন, যারা এ বিষয়ে কথা বলছেন তাদেরই রুল-রেগুলেশনের নামে গলা টিপে ধরা হচ্ছে। এটা তো রাষ্ট্রের চিরায়ত সত্য চরিত্র। এটিকে যারা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করছে তাদেরকে বলবো অন্তত পরিবারের সদস্যের কথাগুলো ভাবুন, নিজের কথা না ভাবেন, অন্তত বাবার কথাটি ভাবুন। আপনার বাবার যে কষ্ট হয়, সেটি একবার হলেও চিন্তা করেন। 

তিনি আরো বলেন, যতোটুক যৌক্তিক ততোটুকুই বলছি। কথা বললে না-কি গুম, খুন হয়ে যায়। আমি কি ভয় পাই না? কালকে তো আমিও বুড়িগঙ্গায় ভাসতে পারি অথবা ট্রাকের নীচে পড়ে মারা যেতে পারি। তাই বলে কি আমরা চুপ থাকবো! একবার সবাই মিলে আওয়াজ তুলুন, দেখবেন দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের যে চর্চা, এটি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। 

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তার করা সেই প্রতিবাদে দেশের মানুষও সমর্থন দেয়। এর আগে গেল বছরের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ণসহ ৬ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে আলোচনায় আসেন এ শিক্ষার্থী। যার মাধ্যমে ঢাবি ক্যাম্পাসে পরিচিতি মুখ হয়ে ওঠেন রনি। এছাড়া কিছুদিন আগে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি চা বিক্রি শুরু করেছিলেন এ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0085310935974121