দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজশাহী নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্র মৈত্রীর রাজশাহী জেলা ও নগর শাখা এই কর্মসূচি পালন করে। এর আগে নগরের জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
দাবি পাঁচটি হলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়সহ হল ও কলেজগুলোর হোস্টেল খুলে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করা, শতভাগ শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, করোনাকালীন ন্যূনতম ৫০ শতাংশ বেতন ও সেশন ফি মওকুফ করা, শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়স বাড়ানো এবং ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবসকে জাতীয়ভাবে দিবস ঘোষণা করা।
ছাত্র মৈত্রীর নগর সহসভাপতি সাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র মৈত্রীর রাজশাহী নগর সভাপতি ওহিদুর রহমান। এতে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী নগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক, নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নাজমুল করিম, সদস্য অসিত পাল, ছাত্র মৈত্রীর নগর সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় সরকার, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক ঋতু সরকার, বোয়ালিয়া থানার সভাপতি অমিত সরকার, রাজপাড়া থানার সভাপতি সাগর ও সাধারণ সম্পাদক ইফতিক হাসান, কাশিয়াডাঙ্গা থানার সভাপতি ইয়াসিন ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন ও সেশন ফি নেওয়া হচ্ছে। এটা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বেতন ও সেশন ফি মওকুফ করে শতকরা ৫০ ভাগে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও হলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মেসে উঠতে হচ্ছে। মেসে উঠে শিক্ষার্থীরা মেসমালিকদের কাছে হয়রানি শিকার হচ্ছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল খুলে দিতে হবে।
দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে স্বাগত জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী নগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক বলেন, স্কুল-কলেজসহ শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় না আনা গেলে একধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে যাবে। বিভিন্ন দেশে স্কুল খুলে দেওয়ার পরই আক্রান্ত বেড়েছে। তাই টিকার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।