দ্রুতই ক্লাসরুমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন - দৈনিকশিক্ষা

দ্রুতই ক্লাসরুমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মহামারি বলি আর অতিমারি বলি, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস সারা পৃথিবীকেই বুঝিয়ে দিল মানুষের ক্ষমতা কত সীমিত। বিজ্ঞানে উন্নত, অর্থবিত্ত আর শক্তিতে মহাক্ষমতাধর দেশগুলোও মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে পারছে না। কোনো পারমাণবিক বোমা নয়-স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্র নয়, অদেখা ভাইরাসের ভয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল বিশ্ববাসী। প্রায় এক বছরের অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসার আশায়-আশ্বাসে এখন ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্ন দেখছে এখন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, কিন্তু নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। এ দীর্ঘ বন্দিত্বে সারা দুনিয়ার অধিকাংশ দেশই কমবেশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অনেক দেশই যার যার বিবেচনায় ও দক্ষতায় সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে অনেকটা সাফল্যের সঙ্গে করোনা সংকট ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। তাই হয়তো সতেরো কোটি মানুষের দেশে মহামারি তেমন প্রকট হয়নি।

সাহসিকতার সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক খাতকে অনেকটা সচল রাখতে পেরেছে। কয়েক মাস ধরেই অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, পোশাকশিল্প-সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। শুধু স্থবির হয়ে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এখন নানা দিক থেকে জোরেশোরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য উচ্চ আদালতেও রিট হচ্ছে। সরকারপক্ষও গভীরভাবে বিষয়টি বিবেচনা করছে। তাতে মনে হচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে সতর্কতার সঙ্গে খুলে যেতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আমাদের মনে হয়েছে, করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক করার ব্যাপারে সরকার বেশ দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তাই বিভিন্ন সরকারি নীতি সুচিন্তিত বলে মনে হয়নি দেশের অনেক সচেতন মানুষের। অবশ্য এমন অভূতপূর্ব সংকটের মুখে কোনো সরকারের মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের কাছ থেকে সুচিন্তিত নীতি আশা করা ঠিক নয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, অন্য সব ক্ষেত্র স্বাভাবিকীকরণের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার একটি চেষ্টা নেওয়া যেতে পারত। আমাদের দেশের বাস্তবতায় এমন দীর্ঘমেয়াদি ছুটির বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করি।

দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে না পারায় স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী সংকটে পড়বে। সরকারপক্ষ তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই চেষ্টা করেছে শিক্ষার ধারা সচল রাখতে। তারা কিছু বিকল্প সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এরই মধ্যে রয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশনে, রেডিওতে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা। শিক্ষার সর্বস্তরে ভার্চুয়ার ক্লাস নেওয়া।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এসব সুবিধা খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থীই গ্রহণ করতে পেরেছে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা নিতে পারেনি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলব, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দুর্বল ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ক্লাসে আসতে পারেনি। এ বিভ্রাটের মধ্যে শিক্ষকরাও পড়েছেন। এরই মধ্যে আর্থিক সংগতি-অসংগতির প্রশ্নও রয়েছে।

প্রথম শ্রেণির কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যবাধকতার কারণে বিকল্প ব্যবস্থার সহযোগিতা সঙ্গে নিয়ে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থেকেছে ও পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এদের সেমিস্টারে কোনো বিরতি ঘটেনি। কিন্তু সাধারণ ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অবস্থার প্রতিফলন আশা করা যায় না। সাধারণ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ অনলাইনে ক্লাসের অনীহার কারণে এবং যান্ত্রিক সহযোগিতা নেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় ক্লাসের বাইরে থেকেছে।

এসবের কারণে পিছিয়ে পড়ছে স্কুল শিক্ষার্থীদের অনেকেই। নিম্ন আয়ের পরিবারের অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে স্কুলে ফেরার। ঝরে পড়ার শঙ্কা অনেক বেড়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। শহরের কিছু নামিদামি কলেজ ছাড়া বেশির ভাগ কলেজ প্রশাসন এমনিতেই নড়বড়ে। স্বাভাবিক সময়েও অনেক কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুব কম থাকে। কোভিডের সময় অনলাইন ক্লাসের পরিসংখ্যান সাধারণ কলেজগুলোতে ভীষণ নিম্নমুখী। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যলয়গুলোর সামনে এক বছরের সেশনজট তো প্রায় অবধারিত।

এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগেই আমরা মনে করি, শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করা নিয়ে সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এক বছরের ঘাটতি মেটাতে আগামী দু’বছর নির্ধারিত ভ্যাকেশনগুলো বাতিল করে অথবা কমিয়ে দিয়ে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে স্কুলগুলোয় পরীক্ষা পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষার্থী তেমন উপস্থিত না হতে পারলেও শিক্ষকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত ভার্চুয়াল ক্লাসের আয়োজন করতেন। তাই ভ্যাকেশন বাতিল করে ক্লাস চালু রাখলে শিক্ষকদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হবে খুবই যৌক্তিক।

এটা ঠিক, করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকারি নীতিনির্ধারণ পর্যবেক্ষণ করলে প্রতীয়মান হয়, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রকৃত পক্ষে এদেশে অবহেলিতই রয়ে গেছে। বরাবরই বাংলাদেশের বাস্তবতায় শিক্ষা কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত, তা বিবেচনার জন্য যারা নীতিনির্ধারক হন; তারা মনে হয় এ মাটির শিক্ষার সঙ্গে খুব সংশ্লিষ্ট থাকেন না। তাই বেশির ভাগ কার্যক্রম তেমন লাগসই হয় না। এ করোনা সংকটকালে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা স্পষ্টতই অগ্রাধিকার পায়নি।

অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব খাত উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরও স্কুল-কলেজের ছুটি কেবল বাড়তেই থাকে। মহামারির কারণে জীবন সংশয়ের প্রশ্ন এলে জীবনের দায়টাই বড় করে দেখা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিক করার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থবির করা কি সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ? হাজার হাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের অসংখ্য শিক্ষক বেতনের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ভাড়া দিতে না পেরে অনেক স্কুল বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে ভারমুক্ত রেখেছে। তাহলে মানুষ কি মনে করবে, সরকার নিজেকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে দ্বিধা করেছে? কোভিডে কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে জনরোষ যাতে সরকারের ওপর না পড়ে, এর জন্যই কি এমন সতর্ক অবস্থা?

শিক্ষার্থীর দূরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবলে অটো পাশের দুষ্টচক্রে ফেলা হতো না শিক্ষার্থীদের। এদেশের বাস্তবতা তো একটু আলাদাই। তাই আজ যেভাবে জোড়াতালিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে, তাতে যে এই সার্টিফিকেটধারীরা উচ্চতর শিক্ষা ও পেশা জীবনের প্রতিযোগিতায় নানা রকম প্রতিবন্ধকতায় পড়বে না, তা কে বলতে পারে?

আমরা বহুবার কাগজে লিখে বলার চেষ্টা করেছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলো সরাসরি নেওয়া খুব কঠিন ছিল না। যে স্কুল বা কলেজে সাধারণত পরীক্ষা আয়োজন করা হয়, তার আশপাশের এক-দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের ছড়িয়ে দিলেই স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা সম্ভব হতো। কিন্তু এসব পরামর্শ ধর্তব্যে পড়েনি। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষেই চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে।

এক্ষেত্রে নাম করা যেতে পারে-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এতে করোনা সংকটের কথা এ পর্যন্ত শোনা যায়নি।

এদেশের রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় যদি শিক্ষাব্যবস্থা গুরুত্ব পেত, তাহলে শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতি থেকে রক্ষার কথা মাথায় রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসত। এ কথাগুলো আগে আগে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য নয়, যুক্তির খাতিরেই বলছি। যদি শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ভাবা হতো, তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার স্বার্থে ভ্যাকসিন পাওয়ার অগ্রাধিকার তালিকার শেষদিকেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা নেই কেন!

কে আগে, কে পড়ে ভ্যাকসিন দেবে- এসব আমাদের খুব ভাবায় না। দেশের সবারই বেঁচে থাকতে চাওয়ার অধিকার আছে। তাই কাকে ডিঙিয়ে কে আগে বাঁচবে, এ প্রতিযোগিতা সুস্থ চিন্তার নয়। তবে সাধ্য সীমিত থাকায় একটি নীতি তো গ্রহণ করতেই হবে। আমাদের লক্ষ্য একটিই, করোনার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে অন্য সব ক্ষেত্রের পাশাপাশি বর্তমান বাস্তবতায় দ্রুতই ক্লাসরুমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।

পথে না নামলে পথ কতটা বন্ধুর, তা বোঝা যাবে না। গণমাধ্যমের তথ্যে মনে হচ্ছে, সরকারও সক্রিয় বিবেচনায় আছে। ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী অনেকটা নির্দিষ্ট করেই জানিয়েছেন, কোভিডবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যেতে পারে। এজন্য যে নীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি এ সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন; বলেছেন, পর্যায়ক্রমে কলেজগুলো থেকে অনার্স-মাস্টার্স তুলে দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা রইল।

যাহোক, ছাত্র-শিক্ষক সবাই আমরা ভার্চুয়াল নয়; সরাসরি ক্লাসে ফিরতে চাই। করোনার কারণে শিক্ষাজীবনের যে ক্ষতি হলো, তা আর প্রলম্বিত না হোক-আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এটাই। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের প্রভাবে করোনাকালের অবসান ঘটুক, এ প্রত্যাশা রাখি।

লেখক : ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034549236297607