যেখানে বিশ্বের বহু দেশে এখনো কোভিড-১৯ এর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকাই দেওয়া হয়নি, সেখানে বিশ্বের ধনী দেশগুলো বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ধনী দেশগুলোর এ ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন লোভী’ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান (ডব্লিউএইচও) টেডরস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস সোমবার জেনেভা থেকে দেয়া ভার্সুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন , ‘লোভকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে মহামারি থামানো যাবে না।’ পাশাপাশি করোনার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরন ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ আগুন গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলেও বিশ্ববাসীকে হুশিয়ারি দেন তিনি।
বলেন , করোনা ভাইরাসের এই স্ট্রেইনটি ‘স্কোরচিং পেস’ বা আগুন গতিতে মানুষকে আক্রান্ত করছে।এখন পর্যন্ত ১০৪ দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এএফপি। ধনী দেশগুলোর উদ্দেশে হতাশাগ্রস্ত সুরে তিনি বলেন, মহামারিটি যদি লজ্জা পেয়ে পৃথিবীর দুর্বলদের ক্ষমা করে দেয় তাহলেই শুধু এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এ কারণে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতারা ধনী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার আগ পর্যন্ত করোনার সম্ভাব্য বুস্টার ডোজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজের কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যকারিতার প্রমাণ নেই বলেও তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস বলেন, কিছু দেশ কোটি কোটি বুস্টার ডোজ অর্ডার দিতে শুরু করেছেন। যেসব দেশের বেশিরভাগ মানুষই তুলনামূলকভাবে টিকার আওতায় বেশি এসেছে মডার্না ও ফাইজার তাদের জন্যই বুস্টার ডোজ
সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ আমাদেরকে যাওয়া দরকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দিকে।
দুই ভ্যাকসিনের মিশ্রণ বিপজ্জনক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দুটি ভ্যাকসিনের মিশ্রণ ও ম্যাচিং তত্ত্ব নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার দুটি আলাদা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বানানো ভ্যাকসিন মিক্স ও ম্যাচ করাকে ‘ভয়ংকর প্রবণতা’ বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান।