ধনীদের সন্তানের ঢাবিতে পড়তে বেশি ফি নেওয়ার প্রস্তাব - দৈনিকশিক্ষা

ধনীদের সন্তানের ঢাবিতে পড়তে বেশি ফি নেওয়ার প্রস্তাব

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়াতে ধনী পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা টিউশন ফি নির্ধারণের প্রস্তাব এসেছে সিনেট অধিবেশনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার সিনেটে  ভবনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় এ প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, “সমাজের বিত্তবান অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের জন্য উচ্চশিক্ষার যুক্তিসঙ্গত ব্যয় বহন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা থেকে গরিব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে।”

৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ব্যয়ের প্রায় পুরোটাই আসে সরকার থেকে। বর্তমানে সব শিক্ষার্থীর বেতন একই হারে নেওয়া হয়ে থাকে। এখন সেই হারে পরিবর্তন আনার প্রস্তাবই দিলেন অধ্যাপক মমতাজ।

তিনি বলেন, ভর্তুকিমূলক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিৎ নয়। এই দেশে প্রায় ১৫ শতাংশ লোক আয়কর প্রদান করেন। পরোক্ষ করই সরকারের রাজস্বের প্রধান উৎস। এই পরোক্ষ কর ধনী বা দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই দিয়ে থাকেন। দরিদ্রদের প্রদেয় পরোক্ষ করের টাকায় ধনী পরিবারের সন্তানদের প্রায় বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান অযৌক্তিক।”

তাই ‘অ্যাবিলিটি টু পে’ নীতির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ফি নির্ধারণ করা যেতে পারে, বলেন তিনি।

২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট পাস করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট। এ ব্যয়ের ৮৪ শতাংশ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথা সরকার।

বিদায়ী অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ছিল ৬৫ কোটি টাকা। এবার বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় ৮৩ কোটি টাকা ধরেও ঘাটতি থাকছে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতির বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকারের নিকট হতে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে।”

সরকারি অনুদান না বাড়া নিয়েও অনুযোগ করে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ মঞ্জুরি কমিশন তার অনুদান যথাযথভাবে বৃদ্ধি করছে না, যা অপ্রত্যাশিত। সম্পদ শিক্ষার মানের উত্তরণ যেমন ঘটায় না, তেমনি বলা যায় পর্যাপ্ত সম্পদ ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার কাজ নিশ্চিত করা যায় না।” 

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৯ শতাংশ নিজস্ব আয় থেকে সংস্থানের আশা প্রকাশ করে কোষাধ্যক্ষ বলেন, “এই আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্নে শিক্ষার্থী যে টিউশন ফি প্রদান করতেন, প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী তা বর্তমানে কত হওয়া উচিৎ, তা আপনারা বিচার করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করা গেলে সরকারের উপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে কমবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফি বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।

“ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ফান্ড আসে না। অ্যালামনাইদের নিকট হতে আমরা এ খাতে পর্যাপ্ত ফান্ড প্রত্যাশা করি।”

শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়িয়ে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০ এর মধ্যে আনতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে অধিবেশনে বিশেষ তাগিদ দেন সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া।

সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বিশেষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনয়ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখে বলে আমাদের ধারণা। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করা খুবই জরুরি।

“শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের প্রতি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বেশকিছু নতুন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এসব ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় শুধু শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রদানই নয়, গবেষণা-সেমিনার আয়োজনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”

গবেষণায় বরাদ্দ দেড় শতাংশ

আগের বছরের তুলনায় ৯০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার যে বাজেট পাস হয়েছে, তাতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

তবে টাকার অঙ্কে ও হারে গবেষণায় বরাদ্দ বিদায়ী অর্থ বছর থেকে বেড়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

অধিবেশনে সিনেট সদস্য অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, “যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বরাদ্দ ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, এটা আমাদের জন্য খুব বেশি সম্মানের হয় না। সেই কারণে এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা দরকার।

“গবেষণার ক্ষেত্রে যদি আমরা উন্নতি না করতে পারি, তাহলে কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালেয়কে আমরা কাঙ্ক্ষিত মানে নিতে পারব না। সেটির জন্য শিক্ষকদের গবেষণার সুযোগ করে দিতে হবে।”

শিক্ষকদের গবেষণার সময় করে দিতে ছয় মাসের সেমিস্টারের পরিবর্তে চার মাসব্যাপী সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিস্থিতি তুলে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “বঙ্গবন্ধু ওভারসিজ স্কলারশিপের আওতায় পিএইচডি ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে অধ্যয়নের জন্য ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪১ জন তরুণ শিক্ষক বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। তাদের অর্জিত জ্ঞান ও গবেষণা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান সমুন্নত করবে।

“বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অর্থ সহায়তায় এ মুহূর্তে প্রায় পাঁচশটি গবেষণা প্রকল্প চলমান। মানসম্মত গবেষণাকর্মকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য নীতিমালার আলোকে শিক্ষকদের অর্থ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উন্নয়নের জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে এমফিল বা পিএইচডিতে গবেষণা বৃত্তির অর্থের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

“উচ্চতর পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা জুলাই ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে। এসব উদ্যোগ ও কর্মপ্রয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা-সংস্কৃতি তৈরিতে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

নতুন অর্থবছরের ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান আসবে ৭৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় ধরা হযেছে ৮৩ কোটি টাকা। এর বাইরে এবার বাজেটে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঘাটতি থাকবে, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বাজেটে ব্যয়ের খাতগুলো হলো- শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ৭২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

বিদায়ী অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ছিল ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে ২৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বেড়ে তা ৮৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।

২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক ভবন মেরামত ও সংস্কারের জন্য মঞ্জুরি কমিশনের বিশেষ তহবিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কোষাধ্যক্ষ।

গবেষণা-প্রকাশনা মেলা আয়োজনের উদ্যোগ

গবেষণাধর্মী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিতে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে এই প্রথম গবেষণা-প্রকাশনা মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য- ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’। এই গবেষণা-প্রকাশনা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহীত দুইশতাধিক গবেষণা প্রকল্প, প্রায় অর্ধশত গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা জার্নাল প্রদর্শিত হবে।

প্রতিবছর এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন এবং শ্রেষ্ঠ গবেষক ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে জানান উপাচার্য।

চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে সফটওয়্যার বানানোর উদ্যোগ

গবেষণাপত্রের মৌলিকত্ব ও মান সমুন্নত রাখতে ইতোমধ্যে ‘প্লেইজারিজম পলিসি’ প্রণয়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলায় রচিত গবেষণাপত্র বা থিসিসের সাদৃশ্য চিহ্নিত করার জন্য ‘টার্নিটিন সফটওয়ারে’র অনুকরণে একটি সফটওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ শিক্ষক গবেষক অচিরেই তৈরি করতে পারবেন বলে আশাবাদী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, “গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার ওপর আমরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি। এজন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ অব্যাহত আছে।”

বাংলাদেশ সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) যৌথ অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘আইটি এইচআর হাব’ তৈরি করার কথাও জানান উপাচার্য।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির সূতিকাগার স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) মাধ্যমে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এটি হবে শিক্ষাখাতে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রযুক্তির প্রথম ভবন।

একাডেমিক উন্নয়ন পরিকল্পনা

কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠ-পরিধি ও মান উন্নয়নের জন্য ‘একাডেমিক উন্নয়ন পরিকল্পনা' কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

একাডেমিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসিনা খানকে আহ্বায়ক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “মনে রাখতে হবে ভৌত অবকাঠামোর চেয়ে একাডেমিক বিষয়াবলী সময়ের চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত পরিবর্তিত হয় ও উন্নয়ন ঘটে। এজন্য অন্তত ৫ বছর পর পর পর্যালোচনাক্রমে একাডেমিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়।”

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047879219055176