লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মা।
ভুক্তভোগী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী খানজিদা খানম কেয়ার মা আকলিমা আক্তার শিল্পী।
নির্যাতনকারী হলেন-ধর্ষণ মামলার আসামি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. আব্দুল কাদের।
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল রাতে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আ. কাদেরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হলে গ্রেফতার হন কাদের। প্রধান সাক্ষী ছিলেন ঢাবি ছাত্রীর মা আকলিমা আক্তার। পরে আদালত কাদেরকে ১২ বছরের সাজা দেন। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে কাদের প্রায়ই আকলিমাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিত। বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করত। গত ২৯ আগস্ট নিজের কর্মস্থল প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আকলিমাকে মারধর করা হয়। এতে তার গলায় জখম হয়। এছাড়া টাকা পয়সাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রী খানজিদা খানম কেয়া বলেন, আ. কাদের জাহানারা নামের এক ‘পাগলি’কে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে মেয়েটির পক্ষে আমার আম্মু সাক্ষ্য দেয়। এরপর থেকে আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর নির্যাতনের চেষ্টা চালানো হয়। আমার বাবা মানসিক ডিজঅর্ডার, পড়াশুনার জন্য আমাদের ঢাকায় অবস্থান করা এবং আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
জামিনে জেল থেকে বের হয়ে কাদের মোল্লা লোক ভাড়া করে আম্মুকে হত্যার অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে সে নিজে নির্মমভাবে হামলা চালায় আমার আম্মুর ওপর। তার ভাই স্কুলশিক্ষক কামাল হোসেন আমাদের বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনার যেন দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয় সেজন্য আমি সবার আন্তরিক সাহায্য চাই।