নাটোরের বড়াইগ্রামে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা মোহতামিমকে ধাওয়া করে আটক করেছে জনতা। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের কালিকাপুর এলাকার একটি বিল থেকে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
আটক মাদরাসা সুপারের নাম মাওলানা মুফতি ইসমাইল হোসেন। তিনি কালিকাপুর উম্মাহাতুন মুমিনীন মহিলা মাদরাসার মোহতামিম ও পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা শাহিবাজার এলাকার আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই মাদরাসার ছাত্রীদের লেখাপড়া চালু রাখার জন্য মাদরাসা সুপার অভিভাবকদের তাগিদ দিলে মেয়েটির অভিভাবক তাকে মাদরাসা সুপার ইসমাইল হোসেনের কাছে প্রাইভেট পড়তে বলেন।
এতে সে আপত্তি জানিয়ে বলে, সুপারের কাছে সে প্রাইভেট পড়বে না। কারণ সুপার তার বান্ধবীকে শ্রেণিকক্ষে আটকে খারাপ কাজ করেছেন। এ কথা শুনে মেয়েটির অভিভাবক তাকে সঙ্গে নিয়ে একই এলাকার ওই বান্ধবীর কাছে যান। তখন বান্ধবী জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মোহতামিম তাকে ভয় দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ করেন। এর পর গতকাল সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন সুপার ইসমাইল হোসেনের কাছে ঘটনা জানতে গেলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জনতা তাকে ধাওয়া করে আটক করে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।