রাজধানীর সবুজবাগে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন রাজু আহমেদ নামের এক যুবক। এতে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং তার আট মাসের গর্ভাবস্থায় যুবকটির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার। এ মামলায় আসামি রাজুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মেয়েটির গর্ভজাত শিশুর বয়স ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর আজিমপুরে সোনামণি নিবাসে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘আসামি রাজু আহমেদের করা অপরাধ লজ্জাজনক, পূর্বপরিকল্পনাপ্রসূত, ভয়াবহ এবং স্পর্শকাতর, যা আমাদের বিবেককে তাড়িত করে। আসামির এমন অপরাধে ভিকটিমের পুত্রসন্তান জন্মেছে এবং আসামি এই সন্তানের জৈবিক পিতা। অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় আসামির বয়স ৩০ বছর মর্মে দেখা যায়। আসামি মানসিকভাবে অনগ্রসর নতুবা ১২ বছর বয়সী ভিকটিমের সঙ্গে কোনোভাবেই শারীরিক সম্পর্ক করতেন না। ’
২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল ভুক্তভোগীর বাসার সবার অনুপস্থিতির সুযোগে শিক্ষার্থীটিকে ধর্ষণ করেন আসামি।