করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। গত একবছরের বেশি সময় ক্লাস বন্ধ। ৪ কোটি শিক্ষার্থীর ক্ষতি হচ্ছে এ পরিস্থিতিতে। সরকারের পক্ষ থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করা হলেও এর আওতায় সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের আনা সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে আগামী ২৩ মে থেকে স্কুল কলেজের ও ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে, একবারে নয়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
আর পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। তবে, ২৩মে স্কুল কলেজ ও ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর পূর্বসিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে করোনায় বিপর্যস্ত বাজেট কেমন হওয়া উচিৎ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান। এ অনুষ্ঠানে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরামর্শ দিয়েছেন ড. মঞ্জরুল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে একদিন শিক্ষায় ফিরতে হবে। একসঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। তবে সব বিষয়ে কাটছাট করে পড়ালে চলবে না। মৌলিক বিষয় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত জ্ঞান প্রদান করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শের প্রশংসা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, সারা দেশে একসঙ্গে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে ধাপে ধাপে খুলে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি একটি ভালো প্রস্তাব। সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
তবে, ইতোমধ্যে সরকার ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ ও ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ছিল তা এখনো বহাল রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর সে বছরের ১৮ মার্চ থেকে সব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়। পরে দেশে সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে ৩০ মার্চ থেকে স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে, দেশে করোনার ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণের মুখে তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে গত ২৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্হ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদ উল ফিতরের পর ২৩ মে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে লকডাউন দেয় সরকার। সে লকডাউনের মেয়াদ সর্বশেষ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও তা আরও বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।