২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দঘন শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। এ শিক্ষাক্রম পাইলটিং হবে আগামী বছর থেকে শুরু হবে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ম ও ২য় শ্রেণি এবং ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি এবং ৮ম ও ৯ম শ্রেণি এ শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে। এ শিক্ষক্রমের আওতায় ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শিক্ষাক্রমে অনুমোদন দিয়েছেন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়া উপস্থাপনা শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাথমিকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়েই ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। আর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে গিয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ। আর ৪০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে ক্লাস শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে যেটি সামষ্টিক মূল্যায়ন বলা হচ্ছে। ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন। নবম ও দশম শ্রেণিতে কয়েকটি বিষয়ে শিখনকালে অর্ধেক মূল্যায়ন হবে এবং বাকি অর্ধেক সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩০ ভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ৭০ ভাগ সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিখনফলের মাধ্যমে আর ৪০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। শরীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা ও শিল্পকলা বিষয়ে পুরোটাই হবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা শিখন ফলের ভিত্তিতে।
৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ের ৬০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। আর বাকি বিষয়গুলো জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা বিষয়গুলোতে শিখনকালীন মূল্যায়ন শতকরা ১০০ ভাগ। ৯ম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৫০ ভাগ ও পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন ৫০ ভাগ। বাকি বিষয়গুলো শতকরা ১০০ ভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন।
উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ ও দ্বাদশে আবশ্যিক বিষয়গুলোতে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৩০ ভাগ ও সামষ্টিক মূল্যায়ন শতকরা ৭০ ভাগ। আর ঐচ্ছিক বিষয়গুলো বা প্রায়োগিক বিষয়গুলোতে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনিক, বিশেষায়িত কাঠামো, প্রকল্পভিত্তিক মূল্যায়ন হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।