নতুন শিক্ষকদের যোগদান নিয়ে আইনি জটিলতার শঙ্কা কাটলো - দৈনিকশিক্ষা

নতুন শিক্ষকদের যোগদান নিয়ে আইনি জটিলতার শঙ্কা কাটলো

রুম্মান তূর্য |
নতুন শিক্ষকদের যোগদানে আইনি জটিলতার যে শঙ্কা ছিলো তা কেটে গেছে। রিট ও এ প্রেক্ষিতে জারি হওয়া রুলের কারণে স্থগিত থাকা প্রার্থী ছাড়া অবশিষ্ট নির্বাচিতদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হলে আইনি জটিলতার শঙ্কা নেই বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও  প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সলিসিটর। এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা গতকাল বৃহস্পতিবারই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
 
কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন শিক্ষকদের চূড়ান্ত সুপারিশে এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করবে এনটিআরসিএর। 
গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। 
 
এনটিআরসিএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রথমে নিয়োগের জন্য নির্বাচন না পেয়ে এক প্রার্থীর করা রুল ও সে রুলে দেয়া নির্দেশনা নিয়ে সলিসিটরের যে মতামত চাওয়া হয়েছিলো তা আমরা পেয়েছি। ওই মতামত পর্যালোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করবো। 
তবে, কবে নাগাদ প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশ পাবেন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। 
 
কর্মকর্তারা বলছেন, এক প্রার্থীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি হওয়া রুল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা ছিলো চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ওই প্রার্থীকে পরে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হলেও তার রিট আমলে নিয়ে জারি করা রুলে ওই প্রার্থীকে নির্বাচন ও কয়েকজন নির্বাচিত প্রার্থীর নিয়োগ সুপারিশ স্থগিত রাখতে বলেছিলো আদালত। ওই রিটের ফলে অন্যান্য প্রার্থীর চূড়ান্ত সুপারিশ করা হলে কোনো আইনি জটিলতার শঙ্কা আছে কি-না সে বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিলো সলিসিটরের। সে বিষয়ে পজেটিভ মতামত এসেছে।
জানা গেছে, পুলিশ ভেরিফিকেশনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া চলমান রেখেই প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চায় এনটিআরসিএ। কর্মকর্তারা বলছেন, ভেরিফিকেশন শেষ করে প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে হলে কয়েকবছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের একটি ছোট অংশের ভেরিফিকেশন এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে। কর্মকর্তাদের আশা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মতোই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতেও ভেরিফিকেশন চলমান রেখে প্রার্থীদের সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিলবে।
 
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। তারপর অনলাইনে নিবন্ধিত প্রার্থীদের আবেদন নিয়ে গত ১২ মার্চ ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছিলো।
এদিকে নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগাদন করতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৮ হাজার প্রার্থী ভি-রোল ফরম পূরণ করেছেন। তারা দ্রুত যোগদান করে দ্রুত এমপিওভুক্ত হতে চাচ্ছেন।  

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032119750976562