করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক অনুদান দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অনুদান দিতে নতুন করে শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে। ইআইআইএনধারী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হবে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। আগামী বৃহস্পতিবারের (৫ নভেম্বর) মধ্যে সব নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য হালনাগাদ করে পাঠাতে পারবেন জেলা প্রশাসকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইআইআইএনধারী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যাদি নির্ধারিত ছক মোতাবেক সংগ্রহ করে তা ইমেইলে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন জেলা প্রশসকরা। সব নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যাদি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ছকে শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের ইংরেজি বানান, এনআইডি কার্ডের অনুরূপ হতে হবে, প্রদত্ত মোবাইল নম্বরের এনআইডির সাথে মিল থাকতে হবে। এসব তথ্য সহজীকরণের জন্য পূর্বে প্রাপ্ত জেলাভিত্তিক একটি তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তার প্রকৃত তথ্যাদি সন্নিবেশন করতে এই তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করে হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত আট মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তাদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সরকারিভাবে অনুদান দেয়া হয়। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপে এ অনুদানের জন্য নতুন করে তথ্য হালনাগাদ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের নতুন করে তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ তালিকা নতুন করে ছক আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে। নতুন করে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুদান দেয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার।
ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ১ম দফায় নগদ আর্থিক সহয়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারী এবং কারিগরি, মাদরাসা ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার ৫১ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষক ও ১০ হাজার ২০৪ জন কর্মচারীকে এ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রতিজন শিক্ষক ৫ হাজার টাকা ও প্রতিজন কর্মচারী ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পেয়েছিলেন।
প্রথম দফায় চেকের মধ্যেমে টাকা অনুদানের টাকা দেয়া হলেও এ দফায় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। এ জন্য ব্যানবেইস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য ছকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।