বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্যাটার্নভুক্ত পদে ননএমপিও সুপারিশ নিয়ে যোগদান করা শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এনটিআরসিএর দ্বিতীয় ও তৃতীয় চক্রে ননএমপিও সুপারিশ নিয়ে তারা দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় প্যাটার্নভুক্ত শিক্ষক পদে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু তাদের সুপারিশপত্রে ননএমপিও উল্লেখ থাকায় তাদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছিলো না। কোথাও কোথাও আবার এমপিওভুক্ত করা হয়েছিলো। ননএমপিও পদে সুপারিশ পাওয়া প্রায় ২০০ শিক্ষককে এমপিওভুক্তি সুযোগ দেয়ার বিষয়ে ‘পজেটিভ’ অবস্থানে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় অংশ নেয়া কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এনটিআরসিএর দ্বিতীয় ও তৃতীয় চক্রে শূন্যপদের তথ্যে ভুল থাকায় এসব শিক্ষকদের প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশ করা হলেও তাদের সুপারিশপত্রে ননএমপিও সুপারিশের বিষয়টি উল্লেখ ছিলো। তাই তাদের এমপিওভুক্তির আবেদন অগ্রায়ণ করছিলেন না আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর কর্তারা। কিন্তু তাদের কেউ কেউ ঘুষ দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে।
গত ২০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আল ফিরোজ। সভায় এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানতে চাইলে সভায় অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যারা ননএমপিও সুপারিশ পেয়ে বিভিন্ন প্যাটার্নভুক্ত পদে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন তাদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দেয়ার বিষয়ে পজেটিভ অবস্থানে আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের বিষয়ে সভায় আলোচনা শেষে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে প্যাটার্নভুক্ত পদে ননএমপিও সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দেয়ার। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে, যাতে তাদের এমপিওর আবেদন আর বাতিল না করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এনটিআরসিএর কাছে শূন্যপদের তথ্য ভুল থাকায় তারা ননএমপিও সুপারিশ পেয়েছিলেন। তারা ননএমপিও পদে আবেদন করে সুপারিশ পেলেও দেখা গেছে আসলে ওই পদগুলো প্যাটার্নভুক্ত বা এমপিওপ্রাপ্য। তাই এমপিওভুক্তির সুযোগ থাকলেও সুপারিশ পত্র ননএমপিও লেখা থাকায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। স্কুল কলেজে কর্মরত এমন ৮০ জনের বেশি শিক্ষক আর মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক এ জটিলতায় ছিলেন।