অবিলম্বে নবম পে কমিশন গঠন ও অর্ন্তবর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। মঙ্গলবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদের অডিটোরিয়ামে পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান কর্মচারী নেতারা।
সভায় মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্নবেতনভুক্ত কর্মচারীদের জীবন অসহায়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পে কমিশনে ব্যাপক বেতন বৈষম্য তৈরি হয়েছে। প্রতি ৫ বছর পর পর বেতন পুনর্মূল্যায়ন করার কথা থাকলেও গত ৭ বছর পর্যন্ত বেতন কমিশন গঠন করা হয়নি। তিনি অনতিবিলম্বে ৯ম বেতন কমিশন গঠন এবং অর্ন্তবর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেয়ার দাবি করেন।
অতিরিক্ত মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পে কমিশনে বাতিলকৃত টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ সমন্বয় পরিষদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল, সচিবালয়ের সঙ্গে পদবি বৈষম্য নিরসনের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল মেম্বর কমরেড মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ কমিটির সমন্বয়ক কমরেড বাদল খান, কমরেড কামরুল আহসান, কমরেড নাইমুল ইসলাম জুয়েল, পরিষদের সভাপতি সৈয়দ সারোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ, সহসভাপতি মানিক মিয়া ও আব্দুল আউয়াল ও অন্যান্য নেতারা।