পরিদর্শক না হয়ে পরীক্ষার হলে অবৈধভাবে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতা করার অপরাধে ঝালকাঠির নলছিটিতে দুই মাদরাসা শিক্ষককে আটক করে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার মাদরাসার গণিত পরীক্ষা চলাকালে নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার এ জরিমানা করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, নলছিটি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার গণিতের শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলাম ও তিমিরকাঠি মাদরাসার গণিতের শিক্ষক মো. মিরাজ হোসেন।
জানা যায়, নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ও কথিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ: জলিল আকন্দ ও ভুইফোঁড় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেয়া শিক্ষক বিন-ই-আমিনের পরোক্ষ সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক পরীক্ষায় নকল চলে আসছিলো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এই দুইজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের তকমাও নিয়েছেন গত দুই বছর ধরে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার সাংবাদিকদের জানান, মাদরাসার গণিত পরীক্ষা চলাকালে দুইজন মাদরাসা শিক্ষক ওই হলের পরিদর্শক না হয়েও অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তাদের কেন্দ্রে দায়িত্ব না থাকা সত্বেও তারা নলছিটি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থীদের নকল করায় সহযোগিতা করেন। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পরিদর্শনে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সত্যতা পায়। তাই পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন অনুযায়ী দুই শিক্ষককে আটক করে জরিমানা করা হয়েছে। তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ না করারও অঙ্গীকার করেন।
নলছিটি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার গণিত শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলাম শহরের নান্দিকাঠি এলাকার বাসিন্দা এবং তিমিরকাঠি মাদরাসার গণিত শিক্ষক মো. মিরাজ হোসেন বরিশাল সদরে থাকেন।
নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনেব। এবার অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের ব্যবসা করারও অভিযোগ জলিল আকন্দের বিরুদ্ধে।