ময়মনসিংহে সরকারি নির্দেশনা না মেনে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে নানা খাতে অতিরিক্ত ফি। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৬টি খাতে ফি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুসলিম বালিকা বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, করোনা মহামারির কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফির সঙ্গে শুধু অত্যাবশ্যকীয় বেসরকারি কর্মচারী ও কম্পিউটার ফি আদায় করতে নির্দেশনা জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
কিন্তু ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্দেশনা না মেনে কৃষি, কমনরুম, সাংস্কৃতিক, নবীনবরণ, ছাপা, ক্রীড়া, আনুষাঙ্গিকসহ ১৬টি খাতে প্রায় এক হাজার টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে।
লকডাউনের মাঝেই ২০ এপ্রিলের মধ্যে শিউর ক্যাশে ফি পরিশোধ করতে হয় তাদের। এ ছাড়া নগরীর মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজেও অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহছিনা খাতুন বলছেন, নিয়ম মেনেই ফি আদায় করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল বলছেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ময়মনসিংহ নগরীর তিনটি প্রতিষ্ঠানসহ ১০ থেকে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।