খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কম্পিউটার বিভাগ চলছে নানা সংকটের মধ্যে। প্রায় অকোজো পুরাতন কম্পিউটার, আসবাবপত্রের সমস্যা, ইন্টারনেট কানেকশন কিংবা ওয়াই-ফাই ও জেনারেটরের ব্যবস্থাসহ নানা সংকট নিয়ে চলছে এ বিভাগ। আর এ কারণে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত ও বাস্তবিক প্রশিক্ষণ নিতে হিমশিম খাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর এ মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারিভাবে ৬টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের জন্য ৩ মাস পরপর মহিলা শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়। এর মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড কম্পিউটার বিভাগ ও আধুনিক গার্মেন্টস। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চে কম্পিউটার ট্রেডে খুলনা, পিরোজপুর, ইন্দুরকানী, কচুয়া ও মোরেলগঞ্জের ৩০ জন শিক্ষার্থী এ বিভাগের ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তুু এ বিভাগে রয়েছে নানা সমস্যা।
কম্পিউটার প্রশিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান জানান, এ বিভাগে ৮টি কম্পিউটার রয়েছে। কম্পিউটারগুলো (ডেক্সটপ) অনেক পরাতন। তাও প্রায় অচল। জোরাতালি দিয়ে এগুলো সচল রাখার চেষ্টা চলছে। কম্পিউটার রাখার উপযোগী সব টেবিল ও আসবাবপত্র নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে।
আধুনিক গামেন্টস বিভাগের প্রশিক্ষক মনিরুন নাহার জানান, বিদ্যুত্ না থাকলে তাদের কার্যক্রম চালাতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আয়ন ব্যায়নসহ) ড. মো.মোকলেছুর রহমান জানান, এ ইনস্টিটিউটের নানা সমস্যার মধ্যে জেনারেটরের সমস্যা প্রধান। বিদ্যুত্ না থাকলে ট্রেডগুলোর কার্যক্রম চালানো সম্ভমপর হয় না। বিদ্যুতের বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা একান্তই জরুরি। তাছাড়া জনবল সংকটতো রয়েছেই।