শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ থেকে ছয় লাখ নারী অসম্মানিত, লাঞ্ছিত, ধর্ষিত, বিধবা ও সন্তানহারা হয়েছেন অথবা নানাভাবে আত্মত্যাগ করেছেন। ১৯৭৫ সালের পর তাদের লাঞ্ছনাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের এ দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। তারা ক্ষমতায় বসে দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নারীর অসম্মানকারীরা ফের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসলে দেশে জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে।
সোমবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'মুক্তিযুদ্ধে নারী' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, প্রেস ক্লাবের প্রবীণ নারী সদস্য মাহমুদা চৌধুরী এবং নারী নেত্রী কাজী সুফিয়া আখতার। সেমিনারে 'মুক্তিযুদ্ধে নারী' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রীতা ভৌমিক।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অবজ্ঞার চোখে দেখে। নাসিমুন আরা বলেন, তারামন বিবিকে খুঁজে বের করতে আমাদের ৩৫ বছর লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধে অন্তত ৬ লাখ নারী নিগৃহীত হয়েছেন। তাদের অবদান পাঠ্যবইয়ে থাকা দরকার।