রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে নিখোঁজ সাদমান সাকিব রাফি (২৩) মারা গেছেন। বেওয়ারিশ হিসেবে ১৪ জানুয়ারি তাঁর মরদেহ দাফনও করা হয়। তবে পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরেছেন গতকাল সোমবার। সাদমান মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির (এপিইউ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ সাদমানের লাশ উদ্ধার ও দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন তাঁর ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। গতকাল হাতিরঝিল থানায় গিয়ে ছেলের ছবি দেখালে পুলিশ তাঁর (সাদমানের) মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি বেগুনবাড়ি উড়ালসেতুতে ওঠার মুখে তাঁরা হাতিরঝিলের পানিতে অপরিচিত এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁরা মৃতদেহটি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যায়। ময়নাতদন্তের পর সাদমানের মৃতদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাদমানের মায়ের করা জিডিতে বলা হয়, ১৩ জানুয়ারি সকালে সাদমান কাউকে কিছু না বলে বসুন্ধরা এলাকার বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ।
সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন সে সময় জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়া থেকে তাঁর ছেলে ঢাকায় ফিরে আসেন। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে আটকা পড়েন।
সাদমানের মায়ের ভাষ্য, সাদমানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে। তিন বছর আগে মালয়েশিয়ার এপিইউতে ভর্তি হন তিনি। ঢাকায় তাঁর কোনো বন্ধুবান্ধব নেই। ঢাকার রাস্তাঘাটও ভালোভাবে চেনেন না। তবে মাঝেমধ্যে সাদমান খুব বেশি চিন্তিত থাকতেন। গত বছরের নভেম্বরে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছে।