কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে দীর্ঘদিন ধরে ভাতা পাচ্ছিলেন না শিক্ষকরা। টাকা পয়সার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে প্রধান শিক্ষকের কাছে ২০১৯ সালে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবেদনকারীকে তথ্য দেননি। পরে বিষয়টি তথ্য কমিশন পর্যন্ত গড়ায়। এতে ক্ষুব্ধ হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরহাদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তথ্য চাওয়ার পর থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক ও তাঁকে সমর্থনকারী সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেন প্রধান শিক্ষক।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
তাঁর অনুগত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ওই দুই শিক্ষককে গত ২৪ জানুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু বিধি মতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটি বরখাস্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
তবে এই কমিটির সিদ্ধান্ত পাওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে স্কুল পরিচালনা কমিটি গত ২১ মার্চ তাঁদের চূড়ান্ত বরখাস্ত করে বেতন বন্ধ করে দেয়। হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া পারভেজ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।