বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল। নিজের জগতে আত্মমগ্ন, উজ্জ্বল এই তরুণও ছুটে গিয়েছিলেন একাত্তরের রণাঙ্গণে। মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু কখনোই রাজনীতিতে জড়াননি নিজেকে। উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের কালরাত্রির নৃশংসতায় রক্ষা পাননি তিনিও। ঘাতকরা হত্যা করে তাকেও।
বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল শৈশবে পড়েছেন শাহীন স্কুলে, পরে রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল থেকে পাস করেন মাধ্যমিক। স্বাধীনতার পর ঢাকা কলেজে যখন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ছেন তখন যুগোশ্লাভিয়ায় প্রেসিডেন্ট মার্শাল যোসেফ টিটোর আমন্ত্রণে সেনা প্রশিক্ষণ নিতে সেদেশে চলে যান।লন্ডনের স্যান্ডহার্স্ট আর্মি একাডেমিতেও তিনি প্রশিক্ষণ নেন।পঁচাত্তরের বর্বরতার মাত্র মাসখানেক আগে ফুপাতো বোন রোজীর সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ জামালের।
প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। কিন্তু সহযোগিতা করেছেন প্রগতিশীল ছাত্র সমাজকে। গিটার বাজাতেন। ক্রিকেট খেলতেন। নিজের জগতে এমন আত্মমগ্ন এই তরুণকে হত্যা করতেও হাত কাঁপেনি ঘাতকদের।