মাতাল অবস্থায় পাঁচ তারকা হোটেল থেকে বেরিয়ে ঘুষের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়ায় গুলিবিদ্ধ হওয়া, কলেজ জাতীয়করেণ নিয়ে শেখ হাসিনার পরিকল্পনাকে কৌশলে আটকে দেয়া, ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে নজিরবিহীন দুনীর্তি ধরা পড়ে সমালোচিত হওয়া, অবৈধভাবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে নিয়োগ, স্মরণিকায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ, ঢাকা বোর্ডের সরকারি বাসা দখলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষা ক্যাডারের অন্যতম দাগী কর্মকর্তাই নিয়োগে ঘুষ লেনদেরন নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এই দাগী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত টাকার বিনিময়ে স্কুল-কলেজের একাডেমিক স্বীকৃতিসহ, জিপিএ ফাইভ বিক্রি ও ক্যামরিয়ানকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া স্কুল-কলজের অনুমতি দেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত এখনও চলমান। এরই মধে তার হাতেই শিক্ষা অধিদপ্তরের চার হাজারের বেশি নিয়োগের দায়িত্ব। যদিও লোক দেখানো একটা কমিটিতে অন্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছে। সেই দাগী কর্মকর্তাই নিজেকে আড়াল করতে সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ করে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ায় প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষার সচেতন মহলে। তারা অভিযোগ করে বলেছেন, নিয়োগ সামনে থাকায় প্রতিদিন বিকেলে দালালরা শিক্ষা ভবনের দুইজন উপপরিচালকের ও একজন কর্মচারীর কক্ষে আড্ডা মারেন।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে সরকারি স্কুল-কলেজে চার হাজার ৩২ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের দাগী দুই কর্মকর্তার হাতেই সব ক্ষমতা। অথচ তারাই কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের সেই দাগী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের আওতাধীন অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২৮ ক্যাটাগরির চার হাজার ৩২টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে গত ২২ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু প্রতারকচক্র চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। কেউ যেন প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, সব ধরনের পরীক্ষার (লিখিত, ব্যাবহারিক ও মৌখিক) তারিখ, সময় ও স্থান এবং নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলে প্রার্থীকে সরাসরি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এ ছাড়া সব কিছু অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
দাগী কর্মকর্তারে অতীতের ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হবে দৈনিক শিক্ষায়। চোখ রাখুন।