শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে নিষেধ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। নোট-গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা হলে তা বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আবারও সেই অ্যাসাইনমেন্ট নতুন করে লিখে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে মূল্যায়নের রেকর্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ মূল্যায়ন নির্দেশনা এবং অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়।
অনলাইনে বা সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া ও গ্রহণ করতে বলা হয়েছে মাদ্রাসাগুলোকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার পরীক্ষা বা বাড়ির কাজ না দিতেও বলা হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই সব ইবতেদায়ি ও দাখিল শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে তাদের শিখন ফল অর্জনে পদক্ষেপ নিতেও মাদ্রাসাগুলোকে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিকের মতোই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও অগ্রগতি প্রয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্টগুলোর শাব্দিক মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের।
গতকাল একই সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ইবতেদায়ি ও দাখিল শিক্ষার্থীদের সংশ্নিষ্ট বিষয়গুলোর সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্টও প্রকাশ করা হয়েছে। মাধ্যমিকের সঙ্গে মিল থাকা বিষয়গুলোর যেমন বাংলা, ইংরেজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশিত সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্ট অনুসরণ করতে হবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের।
মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে শিখনফলের মূল্যায়ন শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে।