বাকস্বাধীনতার পক্ষে সাহসী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতফ।
মারিয়া রেসা অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট র্যাপলারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। নোবেল পুরস্কার কমিটি থেকে জানানো হয়েছে, মারিয়া রেসা বাকস্বাধীনতার আদর্শ সমুন্নত রেখে ফিলিপাইনে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঊর্ধ্বমুখী সহিংসতা এবং ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্বপরায়ণতার খবর প্রকাশ করেছেন।
মামলার পর মামলা, গ্রেপ্তার, হুমকি কোনকিছুই থামাতে পারেনি মারিয়াকে৷ সাংবাদিক হিসেবে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে সবসময়ই ছিলেন সরব। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মানবাধিকারকে বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শনের খবর সবারই জানা। সাংবাদিক মারিয়া একাধিকবার তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। ২০১৫ সালে মারিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দুতার্তে স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি মানুষ হত্যা করেছেন।
প্রভাবশালী বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান বলছে- মারিয়া এবং দুতার্তের 'দেখাশোনা' কয়েক দশক ধরে চলছে। ১৯৮০ এর দশকে মারিয়া প্রথম দুতার্তের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন যখন তিনি ডাভাওয়ের মেয়র ছিলেন।
২০১৫ সালে দুতার্তে যখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তখন তিনি আবারো তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন যেখানে দুতার্তে তিনজন মানুষকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ২০১৭ সালে অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভিয়েতনামের ডা নাং নগরীতে গিয়ে একদল প্রবাসী ফিলিপিনো নাগরিকের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি একজনকে ছুরি চালিয়ে হত্যা করেছিলেন। দুতার্তে ক্ষমতায় আসার পর ফিলিপাইনের পুলিশ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। যাদের বেশিরভাগকেই হত্যা করা হয় মাদক বিরোধী অভিযানে।