সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরও ন্যূনতম মূল্যায়নের ভিত্তিতে সনদ দেবে বিদ্যালয়গুলো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যদি আমরা করোনামুক্ত হতে পারি, তাহলে বাকি থাকছে মাত্র ১১ দিন। এ সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব না হলে আমরা বলে দিয়েছি, নিজ নিজ বিদ্যালয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে করবে।’
সরকার আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটির পর চলতি শিক্ষাবর্ষের মাত্র ১১ দিন সময় রয়েছে। এরমধ্যে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ২৬ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সরকারি কর্মদিসব থাকছে মাত্র ৯ দিন। ফলে মাত্র ৯ দিনের মধ্যে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তাছাড়া ১৯ ডিসেম্বরের পর প্রাথমিকে ক্লাস হয় না; বাকি দিনগুলো পরীক্ষা ও মূল্যায়নের প্রস্তুতির জন্য নির্ধারিত থাকে। এ কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিদ্যালয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করতে হবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গতকালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়লো। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে শ্রেণী পাঠদান সম্প্রচার এবং উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারীর কারণে এ বছর পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা/মূল্যায়নের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নভেম্বরে এসব পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। গত ১ এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সেই পরীক্ষাও বাতিল করে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।