পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নিবন্ধিত প্রার্থীরা আর শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। মামলা-মোকদ্দমা করে এর আগে একবারই তারা এমন সুযোগ পেয়েছিলেন । বিষয়টি এমপিওভুক্তির বিদ্যমান নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিলো। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)কর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে তারা আর আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না । আগামী অক্টোবরের শেষে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে।
এর আগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব প্রার্থীরা শিক্ষক হওয়ার আবেদনের সুযোগ পেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়েও তাদের সে সুযোগ বহাল রাখা হয়েছিলো। কিন্তু সে রায়ের রিভিউ আবেদন করেছিলো এনটিআরসিএ। রিভিউয়ে বিধি-বিধান অনুযায়ী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা এসেছে।
গতকাল রোববার দুপুরে দৈনিক আমাদের বার্তার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান।
তিনি জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আপিল বিভাগের রায়ের প্রেক্ষিতে পয়ত্রিশোর্ধ্ব প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ের রিভিউ করা হয়েছিলো। এতে বিধি-বিধান অনুযায়ী শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের নির্দেশনা এসেছে। সে অনুযায়ী এমপিও নীতিমালা মেনে শিক্ষক পদে নিয়োগে ৩৫ বছরের কম বয়সি প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পেতে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নীতিমালা জারির পর তারা শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সুযোগ চেয়ে একটি রিট করেন। সে রিট শুনানি শেষে হাইকোর্ট পঁয়ত্রিশোর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেয়েছেন তাদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। পরে এনটিআরসিএ আপিল করে। আপিল বিভাগ শুনানি শেষে রায় দেয়। রায়ে, পঁয়ত্রিশোর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে, এনটিআরসিএ আপিল বিভাগের রায় রিভিউ এর আবেদন করে। রিভিউয়ে বিধি-বিধান অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশনা এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিবন্ধনধারী নতুন শিক্ষক শান্ত আলী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, নবীন শিক্ষকরা ভালো কাজ করছেন। আমরা নিবন্ধিত প্রার্থীরাও চাই নবীন ও মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসুক। ‘মামলা করে অনেক বয়স্করাও শিক্ষক হয়েছেন, কিন্তু আমরা চাই মামলা নয় মেধাই হোক শিক্ষক নিয়োগের মানদণ্ড।