পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা প্রশ্নে সাড়ে চার বছর আগে স্বতঃপ্রোণদিত রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ রুল কাল সোমবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন রুল শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করেন। পরে আদালত ওই সিদ্ধান্ত জানান।
এর আগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়েছিলেন। রুলে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন বা কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগসচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ প্রেক্ষাপটে কমিটি বা কমিশন গঠন ও কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাতে বলা হয়।
আর ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান, বিচার দাবি’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিসহ কয়েকটি দৈনিকের প্রতিবেদন নজরে এলে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ ওই আদেশ দেন।