শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রছাত্রীরা। জানা যায় গত বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় স্নাতক ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা দিতে জাজিরা উপজেলা থেকে জাজিরা কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্র শরীয়তপুর সরকারি কলেজে যাওয়ার সময় প্রেমতলা এলাকায় শ্রমিক পরিবহনের লোকেরা তাদের অটো থেকে নামতে বলেন। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, তাদের নির্ধারিত গাড়িতে যেতে হবে না হয় যেতে দেয়া হবে না। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষায় দেরি হয়ে যাবে বলে জানালে ছাত্রছাত্রীদের ওপর চড়াও হয় শ্রমিক পরিবহনের লোকেরা। বাকবিত-ার একপর্যায় পরিবহন শ্রমিকেরা শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করে। আহতদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছিলেন মেহেদী, সাইফুল ইসলাম, ফরহাদ মিয়াসহ ৪-৫ জন। এরা সবাই জাজিরা কলেজের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার পরে ছাত্রছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়ক জাজিরা কলেজ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ব্যাস্ত সড়কটি অবরুদ্ধ থাকায় দুইপাশ থেকে আসা যানবাহন ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কেন পরীক্ষা দিতে গিয়ে রাস্তায় বাঁধার শিকার হবো, মার খাবো? এর সঠিক বিচার চাই। আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্র কাছাকাছি চাই। কেন্দ্র এত দূরে হওয়ায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমাদের দাবি দ্রুত মেনে না নিলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
পরে জাজিরা থানা পুলিশ ও জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে যায় এবং ছাত্রছাত্রীদের দাবি দাওয়া শুনে ২৪ ঘণ্টাার মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ ভাঙান।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুজ্জামান ভূইয়া বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। দোষীদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে তাই তাদের সকল দাবি শিঘ্রই পূরণ করার ব্যবস্থা হবে।
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।