মাদকের মামলা চিত্রনায়িকা পরীমণির আইনজীবী নির্ধারণ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানান, এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরীমণিকে এজলাসে তোলা হলে আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরিস্থিতি এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যে বিচারক এজলাস ছাড়তে বাধ্য হন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব বনানী থানা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আব্দুল্লাহ আবু জানান,পরীমণিকে আদালতে হাজির করার পর তার পক্ষে আদালতে লড়তে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন আইনজীবীরা। এরই মধ্যে রাত ৮টা ৩২ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারক।
এসময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আগে আপনারা ঠিক করেন, কে আসামি পরীমনির আইনজীবী হবেন। তারপর শুনানি হবে।’ তারপরও হট্টগোল বন্ধ না হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ ৮টা ৩৬ মিনিটে তিনি এজলাস ছেড়ে চলে যান।
পরীমনি এসময় এজলাসেই ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে বিচারক আদালতে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও আইনজীবী নিয়োগে শেষ পর্য্ন্ত বিচারক হস্তক্ষেপ করেন। তিনি আইনজীবীদের তালিকা পরীমনিকে দিলে তিনি সেখান থেকে ছয় জনের নাম চূড়ান্ত করলে মামলার শুনানি শুরু হয়। পরে শুনানি শেষে পরীমণি ও আশরাফুল আলম দীপুকে মাদক মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।