কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পাওনা ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় শিক্ষক ও ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের গুটলি গ্রামের মৃত সামছুল হকের পুত্র শিক্ষক এসএম রেজাউল করিম দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
পাশাপাশি উজান ঝগড়াচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক।
গত ২২ নভেম্বর মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী গ্রহণ করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর আসামী এসএম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন এবং তাকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বাদি আলমগীর হোসেন দীর্ঘ ১০ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। দেশে এসে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নমিনেশন পেপার দাখিল করেন। কিন্তু রেজাউল করিম কাছের মানুষ হওয়ায় এবং তার অনুকূলে চেয়ারম্যান হিসেবে নমিনেশন পেপার প্রত্যাহার করে মামলার বাদী আলমগীর হোসেন।
নির্বাচনী খরচ জোগাতে আর্থিক সঙ্কটে পড়লে ১০ লাখ টাকা ধার করেন বিবাদী। কিন্তু নির্বাচনের পর বাদী তার টাকা ফেরত চাইলে তা অস্বীকার করেন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
এ প্রসঙ্গে মামলার বিবাদী ও দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল করিম বলেন, আমি বাদীর কাছ থেকে এক টাকাও ধার করিনি। আমার সুনাম নষ্টের জন্য আদালতে মিথ্যা মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনও টাকা ধারের জন্য কোনও স্টাম্পে স্বাক্ষর করেনি। আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তাই আদালতে আইনি লড়াই করব। বাদীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলাও করব।