বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেছেন, একই সঙ্গে জাতীয় চার নেতার জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন।
স্ট্যাটাসে সোহেল তাজ বলেন, 'বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতার সার্বিক অবদান- ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে এই চার নেতার (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান) পৃথক এবং বিস্তারিত জীবনী ও অবদান তুলে ধরতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গে রেখেছিলেন যোগ্য ব্যক্তিদের, যারা তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা আর দেশপ্রেম দিয়ে অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং এ জাতির আস্থা।
এই চার জাতীয় বীর ইতিহাসের শুধু ফুটনোট হতে পারেন না। কারণ তাদেরকে দিয়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা এবং এই দিনের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত।'