বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য কিন্ডারগার্টেনগুলোর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদের নির্দেশে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের কাছ থেকে ৫০০-৭০০ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।
এক হাজারেরও বেশি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে গাজীপুর সদরে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন জানান, এ বিষয়ে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ তার কাছে এসেছে। কোনোটি নামে কোনোটি বেনামে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য চাঁদা সংগ্রহের ব্যাখ্যা চেয়ে ১০ জানুয়ারি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠি প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রতিটি কিন্ডারগার্টেন থেকে ৫০০-৭০০ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করেছেন বলে তার কাছে অভিযোগ আসে। গাজীপুর সদর উপজেলা কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, সদরে এক হাজারের ওপরে কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এ-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কেউ এখন পর্যন্ত সংগঠনে করেনি।
গাজীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তিনি চিঠির জবাব দিয়েছেন। বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক টাকাও চাঁদা আদায় করা হয়নি। টাকা আদায়ের জন্য কাউকে তিনি নির্দেশও দেননি।
শামীম আহমেদ বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চিঠি পাওয়ার পর তিনিও সব সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে জবাব চেয়েছেন। তিনি কাউকে চাঁদা সংগ্রহের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কিনা, সেটা জানতে চেয়েছেন। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা লিখিতভাবে জবাবে জানিয়েছেন, চাঁদা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সে জবাবগুলোও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।