গত ৩০ জুন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ছাঁটাই প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভূক্ত কিছু কনটেন্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
তার এই বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই বক্তব্যে তিনি পাঠ্যবইয়ের এমন পরিবর্তনকে হিন্দুত্ববাদ বলে মন্তব্য করেন।
তবে তিনি তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গতকাল শনিবার (২ জুলাই) স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদনে তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
এতে তিনি বলেন, গত ৩০ জুন সংসদ অধিবেশনে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় আমার একটি বক্তব্যে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার কিছু উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করি। ডিজিটাল সংস্কারণের পত্রিকার প্রকাশিত তারিখ ছিল বর্তমান তারিখ। কিন্তু যে রিপোর্টটি থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছি তা ছিল ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিলের। যা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। পরে আমি জানতে পারি যে আমার উপস্থাপিত তথ্য বর্তমানে আর সঠিক নয়। তারিখ বিভ্রাটের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থির জন্য আমি দুঃখিত।
গত ৩০ জুনের বক্তব্যে ফখরুল ইমাম বলেন, বর্তমানে যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রাইমারিতে আছে সেখানে ‘সবাই মিলে কাজ করি’ শিরোনামে মহানবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ছিল সেটা বাদ দিয়েছে। তৃতীয় শ্রেণিতে খলিফা হযরত আবু বকর শিরোনামে একটা সংক্ষিপ্ত জীবনী সেটা বাদ দিয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে হযরত ওমর শিরোনামে একটা সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে একটা বিদায় হজ নামে নজিবীর জীবনী ছিল সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পঞ্চম শ্রেণিতে ‘বই’ নামে একটা কবিতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যেটা ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘লাল গরু’ নামে একটি ছোঠ গল্প আনা হয়েছে যেখানে মুসলিম শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মতো, তাই জবাই করা ঠিক নয়। অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
তিনি আরও বলেন, সপ্তত শ্রেণিতে শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের ‘লালু’ নামক একটা গল্প অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যাতে শেখানো হচ্ছে হিন্দুদের কালী পুজা ও পাঠা বলীর কাহিনী। এগুলো কীসের আলামত? আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই। একটা সংস্কৃতি বাদ দিয়ে অন্য একটা সংস্কৃতি গুরুত্ব দিবেন সেটা কিন্তু শিক্ষামন্ত্রণালয়কে দেখতে হবে।