উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ড. শামসুজ্জোহার শাহাদাতবার্ষিকী সপ্তম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্যপুস্তবকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার শাহাদাতবার্ষিকী ১৮ ফেব্রুয়ারি হলেও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে তা ১৬ ফেব্রুয়ারি লেখা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) উদাসীনতায় এ ভুল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ভুলের জন্য এনসিটিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। একইসাথে শিগগিরই এ ভুল সংশোধনের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
গতকাল সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নওগাঁ শহর শাখার উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পৌঁছালে পাকিস্তানি বাহিনী ছাত্রদের বাধা দেন। এ সময় পাক সেনারা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাতে উদ্যত হলে প্রক্টোর শামসুজ্জোহা তাদের গুলি না করতে বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু পাক সেনারা সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে গুলি চালাতে গেলে ড. জোহা নিজে এগিয়ে যান। তখন তাঁর ওপরই গুলি চালায় সেনারা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে তৎকালীন মিউনিসিপ্যাল অফিসে একটা টেবিলের ওপর ফেলে রাখা হয় বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। চারটার দিকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল রুমে নেয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনিই এ দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তার মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১৬ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে সপ্তম শ্রেণিতে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইতে উপস্থাপন করে ভুল শিক্ষা দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এটি ভুল সংশোধনসহ উদাসীন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেন ছাত্রফ্রন্ট নওগাঁ শহর শাখার আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বাসদের নওগাঁ সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, শহর শাখার সদস্য সচীব পাপ্পু রবিদাস, রোকনুজ্জামান শিশির, সোনালী ইসলাম, চৈত্রী সাহাসহ অনেকে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।