মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজন।
তারা বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সময়ের পরিক্রমায় সেক্টর কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। যারা জীবিত আছেন তাদের অনেকে এখন বার্ধক্যে উপনীত। অথচ ৫০ বছর আগে তাদের বীরত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। তাই তাদেরকে তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের পরিক্রমায় চিরঞ্জীব করে রাখতে হবে। এ জন্য পাঠ্যক্রমে তাদের বীরত্বগাথা গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা প্রয়োজন।গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত মেজর জেনারেল সিআর দত্ত বীরউত্তম ও লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল আলম শহীদ স্মরণে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এ সভার আয়োজন করে।
কেএম সফিউল্লাহ বলেন, প্রয়াত মেজর জেনারেল সিআর দত্ত বীরউত্তম ও লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল আলম শহীদ নিজেদের যুদ্ধ অঞ্চলে বীরত্বপূর্ণ যে ভূমিকা রেখেছেন, তা জাতীয় ইতিহাসের সম্পদ। তাদের বীরত্বগাথা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
হারুন অর রশিদ বলেন, গত ৫০ বছরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ
তালিকা করা সম্ভব হয়নি। কবে হবে, কেউ জানে না। এখন আবার নতুন করে ৩০ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তিনি যাচাই-বাছাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের 'অপমান' না করার দাবি জানান।
সারওয়ার আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সিলেট অঞ্চলে সিআর দত্ত এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলে আবু ওসমান চৌধুরী যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তা স্বাধীনতার ইতিহাসে উজ্জ্বলতম অধ্যায়। তিনি জাতীয় বীরদের স্মৃতি রক্ষার আহ্বান জানান। সভায় প্রয়াত জাতীয় বীরদের পবিত্র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।